প্রকাশ: শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৮:৫৭ পিএম (ভিজিট : ৭৩৪)
মাদকসেবীদের একাংশ এইচআইভি সংক্রমণের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী। এজন্য মাদকসেবীদের পরিপূর্ণ অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করে চিকিৎসা এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম চালাতে হবে।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানীর বারিধারায় একটি হোটেলে ইউএনএইডস ও এনপিইউডিসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার যৌথ উদ্যোগে ‘সিলভার জুবিলি অব হার্ম রিডাকশন প্রোগ্রাম’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা একথা বলেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, মানবাধিকারের দৃষ্টিকোণ থেকে মাদকসেবীদের দেখতে হবে। সামাজিক, পারিবারিক ও সরকারি পর্যায়ে তাদের বিশেষ সাহায্য প্রয়োজন। আমাদের সবাইকে তাদের প্রতি যত্নশীল হতে হবে।
তিনি বলেন, সার্বজনীন মানবাধিকারের ঘোষণাপত্রে জন্ম থেকেই বেঁচে থাকার সম্মানজনক অধিকারের কথা উল্লেখ রয়েছে। মাদকসেবীদের একাংশ এইচআইভি সংক্রমণের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী। আমাদের সমন্বিত, মানবিক ও গবেষণাধর্মী পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। স্বাস্থ্যসেবা লাভ করা মৌলিক অধিকার। স্বাস্থ্যসেবা, চিকিৎসা ও জনসেবা সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে অধিকার নিশ্চিত করতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অত্যন্ত সোচ্চার।
ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ আরো বলেন, অনেকক্ষেত্রে বিচ্যুতি স্বাভাবিক কিন্তু স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসাই মূল সফলতা। মাদকসেবীদের প্রতি সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও গণমাধ্যম কর্মীদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। কার্যকর যোগাযোগ নিশ্চিত করে কাঠামোগত প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করার প্রচেষ্টা চালাতে হবে। বাংলাদেশে ধর্মীয় মূল্যবোধের কারণে মাদকের বিস্তৃতি তুলনামূলক কম। তবুও মাদক সরবরাহ বন্ধে জোর দিতে হবে। শক্ত হাতে মাদক কারবারিদের প্রতিহত করা গুরত্বপূর্ণ।
হার্ম রিডাকশন প্রোগ্রামে কাজ করা প্রবীণ, সৎ ও গত হয়ে যাওয়া কিছু মাঠ কর্মীদের সম্মাননা ও আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ কমিউনিটির অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ‘আমরা করবো জয় একদিন’ স্লোগানে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিএলএইচআইভি নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক হাফিজউদ্দিন মুন্না, নপুড এর সভাপতি মো. রাশেদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি সাহেদ ইবনে ওবায়েদ ছোটন, সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার পল্টু, এইচআইভি/এইডস নিয়ে কাজ করা জাতীয় কনসালটেন্ট মো. ওমর ফারুক, জাতিসংঘের মাদক বিষয়ক সংস্থার বাংলাদেশ অফিসের কর্মকর্তা আবু তাহের, কেয়ার বাংলাদেশ প্রতিনিধি, নার্কটিকস কন্ট্রোল অধিদপ্তরের পরিচালক এবং জাতীয় এইডস এসটিডি প্রোগ্রামের উপ-পরিচালক মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
সময়ের আলো/আরআই