পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের সুনির্দ্দিষ্ট অঙ্গীকার দাবি করেছেন পরিবেশ আন্দোলন ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ।
তারা বলেছেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের কাছে পরিবেশ সুরক্ষায় অঙ্গীকার করবেন এবং নির্বাচনের পর দাবি বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নিবেন এটাই জনগণ প্রত্যাশা করে।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়ে শেখ জামাল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে ‘পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের অঙ্গীকার চাই’ শীর্ষক প্রচারাভিযান কর্মসূচিপশতে এসব কথা বলেন তারা। ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও বুড়িগঙ্গা নদী মোর্চা যৌথভাবে আয়োজিত কর্মসূচিতে সমাবেশ, র্যালি ও মুকাভিনয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।
ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের প্রকল্প সমন্বয়কারী সৈয়দ তাপসের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বক্তৃতা করেন সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, নিরাপদ ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাইদ রানা, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাকিলা পারভীন, সচেতন নাগরিক সমাজ সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক এস এম জাহাঙ্গীর আদেল, নিরাপদ চিকিৎসা চাই-এর সাধারণ সম্পাদক উম্মে সালমা ও বারোগ্রাম উন্নয়ন সংঘের সদস্য জান্নাতী আক্তার রুমা।
সমাবেশে সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র বলেন, আমাদের নদীগুলো ভরাটের পাশাপাশি দখল হয়ে যাচ্ছে। একইসঙ্গে নদীতে দূষণের মাত্রাও প্রতিনিয়ত বাড়ছে। আমরা নিজেরা পরিবেশ ও নদী ধ্বংস করছি, আবার জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রাকৃতি বিভিন্ন সমস্যা ও সংকটের সম্মুখীন। এসব সমস্যার সমাধানে রাজনৈতিক ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের কাছে পরিবেশ ও নদীর রক্ষায় সুনির্দ্দিষ্ট অঙ্গীকার দাবি করছি।
নিরাপদ ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাইদ রানা বলেন, পরিবেশ বিপর্যয় ও পরিবেশ দূষণের ক্ষতিকর প্রভাবগুলোর বিষয়ে জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। পরিবেশ ও নদীর সুরক্ষা জনপ্রতিনিধিদের অন্যতম দায়িত্ব। তাই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অঙ্গীকারের পাশাপাশি নির্বাচনের পরে তারা পরিবেশ সুরক্ষায় কাজ করবেন এটাই প্রত্যাশা।