ই-পেপার শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শীতে চাহিদা কম
নেই লোডশেডিং, গ্রীষ্মের জন্য প্রস্তুতি রাখতে হবে
প্রকাশ: সোমবার, ১ জানুয়ারি, ২০২৪, ৬:৫০ এএম  (ভিজিট : ৬৪৬)
শীত মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকায় সাধারণত লোডশেডিং হয় না বললেই চলে। গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৫ হাজার মেগাওয়াটের ওপরে, শীতকালে সেই চাহিদা গড়ে প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। 

পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (পিডিবি) ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)-এর তথ্যে দেখা যায়, দেশে গত এক সপ্তাহে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল গড়ে ৮ হাজার মেগাওয়াট। এ চাহিদার অর্ধেক পূরণ হচ্ছে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো দিয়ে। এরপর কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, ভারত থেকে আমদানি করা বিদ্যুৎ এবং বাকিটা নবায়নযোগ্য জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে এসেছে। জ্বালানি তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে এ সময় বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে কম। পিজিসিবির তথ্যানুযায়ী, দেশে বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা ১০ হাজার মেগাওয়াট। সর্বনিম্ন ৬ হাজার মেগাওয়াট।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) সূত্র জানায়, বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিপিসি ৪৩ হাজার থেকে ৪৩ হাজার ৫০০ মিলিয়ন টন ফার্নেস অয়েল আমদানি করে থাকে।  পিডিবি ফার্নেস অয়েলের জন্য ৩ মাস পরপর বিপিসিকে চাহিদাপত্র দেয়। সে অনুযায়ী আমদানি করা হয়। এই প্রান্তিকে প্রায় ১৭ মিলিয়ন টন ফার্নেস অয়েল আমদানি করা হলেও তা নিচ্ছে না তারা। এতে বিপিসির বিপুল পরিমাণ অর্থ আটকে গেছে। 
অন্যদিকে জ্বালানি বিভাগ জানিয়েছে, ২০২৪ সালে সেচ মৌসুমে বিদ্যুতের সামগ্রিক চাহিদা ১৭ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত সেচ মৌসুমের এপ্রিল মাসে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ১৬ হাজার মেগাওয়াট। সেচ মৌসুমে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য গ্যাস, ফার্নেস অয়েল ও ডিজেল সরবরাহ বাড়ানো প্রয়োজন।

শীতকালে বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে জ্বালানি তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো সচল রাখতে হবে। কারণ গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাবে দ্বিগুণের ওপর।

মার্চ-এপ্রিল মাস বোরো মৌসুম। সেচের জন্য বিদ্যুতের বাড়তি চাহিদা থাকবে। বিষয়টি মাথায় রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাড়তি প্রস্তুতি নিতে হবে। জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনীয় জ্বালানি সংরক্ষণ করতে হবে। বোরো মৌসুমে কোনোভাবে বিদ্যুৎ ঘাটতি সমীচীন হবে না। মনে রাখতে হবে, ধান উৎপাদন কম হলে দেশে খাদ্যপণ্যের ওপর চাপ বাড়বে। 

দেশে যত শিল্পকারখানা বাড়বে, বিদ্যুতের চাহিদা তত বাড়বে। সেই বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে। সেক্ষেত্রে সৌরবিদ্যুৎ হতে পারে বড় সমাধান। সৌরবিদ্যুৎ দিয়ে চাহিদার বড় একটি অংশ মোকাবিলা করার চেষ্টা চলছে। বৈশ্বিক অস্থিরতা, ডলার ও জ্বালানি সংকট থেকে তো আমরা মুক্ত নই। যার কারণে জ্বালানি সরবরাহের ক্ষেত্রে কিছু বিঘ্ন দেখা যায়। আগামী দিনগুলোতে আমরা হয়তো এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ করতে পারব বলে সংশ্লিষ্টরা বলছেন। এক্ষেত্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন যাতে কোনোভাবেই ব্যাহত না হয়, সংশ্লিষ্টরা আগেই সে ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন-এটাই আমাদের প্রত্যাশা।


সময়ের আলো/আরএস/ 





https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close