প্রকাশ: সোমবার, ১ জানুয়ারি, ২০২৪, ৬:৫৭ পিএম (ভিজিট : ৭৮৪)
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের করা মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাসের কারাদনণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১ জানুয়ারি) রায়ের পর ড. ইউনূসসহ চার জনের জামিন আবেদন করা হলে বিচারক ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় তাদের জামিনের আদেশ দেন।
গ্রামীণ টেলিকমের এই মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ বাকি আসামিরা হলেন, গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা সোমবার এই মামলার রায় ঘোষণায় কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ১০ দিনের কারাদণ্ড দেন। এছাড়া, মামলার আরেক ধারায় তাদের ২৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মামলায় রায়ের পর ড. ইউনূসসহ চার জনের জামিন আবেদন করা হলে বিচারক ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় তাদের জামিনের আদেশ দেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, আসামিপক্ষ এক নম্বর আসামির বিষয়ে প্রশংসাসূচক বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। যেখানে তাকে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করা নোবেল জয়ী আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব বলা হয়েছে। কিন্তু এ আদালতে নোবেলজয়ী ইউনূসের বিচার হচ্ছে না, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান হিসেবে বিচার হচ্ছে। এসময় আদালত বলেন, ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ সন্দেহাতিতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এদিন দুপুর ২টা ১৫ মিনিট থেকে রায় পড়া শুরু হয়, শেষ হয় বিকেল তিনটার দিকে। রায় শোনার জন্য দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে আদালতে উপস্থিত হন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এদিকে ইউনূসের রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে শ্রম আদালত ও আশপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
রায়ের শুনতে আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, তার স্ত্রী একটিভিস্ট রেহনুমা আহমেদ, রাজনীতি-বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ নজরুল, ব্যারিস্টার সারা হোসেন। এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর রাষ্ট্র ও ড. ইউনুসের পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এদিন ধার্য করেন আদালত।
রায় ঘোষণার পর ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায়কে নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করে বলেন, শ্রম আদালতের এই রায় অপূর্ণাঙ্গ। ড. ইউনূস আদালতের কাছে ন্যায়বিচার পাননি। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের যে মামলা করেছিল, সেটি আমরা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি।
সময়ের আলো/এম