প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারি, ২০২৪, ৭:০০ এএম (ভিজিট : ৭৮২)
ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে চলমান সিরিজ দিয়েই টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন, ঘোষণাটা আগেই দিয়ে রেখেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। সাদা পোশাক আর লাল বলের ক্রিকেটে তার ওই শেষের শুরু হচ্ছে বুধবার সিডনিতে। এর আগে সোমবারই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার বিদায় বলে দিলেন ওয়ানডেকে।
ভারতে বিশ্বজয়ের পর কোনো ওয়ানডে খেলেনি অস্ট্রেলিয়া। তাই ১৯ নভেম্বরের ফাইনালটিই হয়ে থাকছে ওয়ার্নারের ক্যারিয়ারের শেষ ওয়ানডে। অবসরের ঘোষণায়ও অবশ্য ফেরার একটা পথ খোলা রেখেছেন এই বাঁহাতি। ২০২৫ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দেশের যদি তাকে প্রয়োজন পড়ে, সে ক্ষেত্রে আসরটি খেলার জন্য অবসর ভেঙে ফিরবেন তিনি।
সোমবার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ৩৭ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার বলেছেন, ‘অবশ্যই আমি ওয়ানডে ক্রিকেট থেকেও অবসর নিচ্ছি। এটা আমি বিশ্বকাপজুড়েই বলে আসছিলাম। এর মধ্যে ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ জিতলাম, যেটা অনেক বড় অর্জন। সুতরাং আজ আমি দুটি সংস্করণ থেকেই অবসরের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি, যা আমাকে বিশ^জুড়ে লিগ খেলার এবং ওয়ানডে দলকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেবে। আমি জানি সামনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আছে। সামনের দুই বছর আমি যদি ভালো ক্রিকেট খেলি এবং দলের যদি কাউকে দরকার হয়, আমি থাকব।’
হোবার্টে ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে পা রাখেন ওয়ার্নার। এরপর থেকেই অস্ট্রেলিয়া দলে বাঁহাতি ওপেনার ছিলেন নিয়মিত মুখ। খেলেছেন ১৬১ ম্যাচ, ২২ সেঞ্চুরি আর ৩৩ হাফসেঞ্চুরিতে করেছেন ৬ হাজার ৯৩২ রান। ২০২৩ সালের মতো ২০১৫ সালেও ওয়ার্নার ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য। ১৪ বছরের পথচলায় ওয়ানডেতে দেশের পক্ষে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক বনে যাওয়া এই ওপেনারের ক্যারিয়ারটা তাই বেশ সাফল্যমণ্ডিতই। টেস্টে তো তিনি অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসেরই সফল ওপেনার, ব্রিসবেনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১১ সালের ডিসেম্বর থেকে শুরু করে ১১১ টেস্টে ৪৪.৫৮ গড়ে করেছেন ৮ হাজার ৬৯৫ রান। ২৬ সেঞ্চুরির সঙ্গে হাঁকিয়েছেন ৩৬ হাফসেঞ্চুরি। পরিসংখ্যাটা আরেকটি সমৃদ্ধ হওয়ার সুযোগ আছে, বিদায়ি টেস্টটা যে এখনও বাকি।
ওই ম্যাচটি নিয়ে কিছুটা আবেগাপ্লুত ওয়ার্নার। নিজ আঙিনায় টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টানতে পারবেন, সেটাই যে ভাবেননি। পড়তি ফর্মের কারণে গত জুনে ইংল্যান্ড সফরেই ক্রিকেটের এই অভিজাত সংস্করণকে বিদায় বলে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। দুটি হাফসেঞ্চুরির কারণে বদলে যায় সিদ্ধান্ত। এবার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেই নামেন মাঠে। বলা ভালো, ওই সিদ্ধান্তের কারণেই পাকিস্তান সিরিজে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। সে যাই হোক, বিদায় যত ঘনিয়ে আসছে, ওয়ার্নার হয়ে পড়ছেন ততই আবেগপ্রবণ, ‘লর্ডস টেস্টকে যখন আমি সম্ভাব্য শেষ হিসেবে দেখছিলাম, আমার মধ্যে খুব বেশি আবেগ কাজ করছিল না। কারণ, আমি সন্তুষ্ট ছিলাম। তখন হয়তো রান পাচ্ছিলাম না, তবে টেস্ট খেলার প্রবল ইচ্ছেটা ছিল। ক্রিকেট খেলাটাকে আমি খুব ভালোবাসি, কোন সংস্করণে খেলছি সেটা কোনো ব্যাপার না। তবে এটা নিশ্চিত, পার্থ টেস্টের পর থেকে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি, যেহেতু আমি অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে এসেছি এবং জানি যে (শেষ সিরিজ) খেলছি।’
সময়ের আলো/জেডআই