ই-পেপার শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

উন্নয়নের নিরিখে পরিবেশ ভাবনা
প্রকাশ: সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ২:১৯ এএম  (ভিজিট : ৩৭৪)
বাংলাদেশের বড় শক্তি হচ্ছে উপকূল। সুন্দরবনের উপরে আমাদের যথেষ্ট অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞান তৈরি হয়েছে। যেখান থেকে বিশ্ববাসী সমৃদ্ধ হতে পারে। আবার প্রভাবশালীদের মাধ্যমে দ্রুত বন ও জলাভূমি দখল হচ্ছে। বাংলাদেশ দ্রুত শিল্পায়নের দিকে যাচ্ছে। আবার উপকূলীয় এলাকা লবণাক্ততার মধ্যে পড়ছে। সে কারণে দেশে উর্বর কৃষিজমি কমে আসছে। 

আমাদের সুন্দরবনের মতো সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য আছে। সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ বৃক্ষ কমে আসছে। কপোতাক্ষ ও সুন্দরবনের অন্যান্য নদ-নদী শুকিয়ে যাচ্ছে। আমাদের জলাভূমিগুলো বৈশ্বিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। এগুলো রক্ষার ব্যাপারে স্থানীয় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে। মানুষের চাপ ও দূষণের কারণে বনভূমি কমে আসছে। সেন্টমার্টিনের মতো সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের মুখে।

দেশের নদীগুলো রক্ষার জন্য আমরা অনেক দিন ধরে কথা বলছি। কিন্তু বাস্তবে তা কাজে লাগে না। আমরা মুখে বলি ভূ-উপরের পানি ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু বাস্তবে ভূগর্ভের পানি তুলে বিপদ বাড়াচ্ছি। বিশে^র ১ শতাংশ সামুদ্রিক এলাকা সংরক্ষিত। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অংশ হিসেবে বঙ্গোপসাগরসহ বিশে^র সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারে। আমাদের প্রকৃতি সুরক্ষার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে অর্থনৈতিক সংকট এবং আয়তন অনুপাতে বিশাল জনসংখ্যা। জলবায়ু পরিবর্তন আসলে জ্বালানি উৎপাদন বাড়ানোর একটি ফলাফল। বাংলাদেশের জন্য দারিদ্র্য বিমোচন, জ্বালানি শক্তি সরবরাহ করা এবং পরিবেশ সুরক্ষা একসঙ্গে নিশ্চিত করা বড় চ্যালেঞ্জ।

আজ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল, প্রবাল প্রাচীর ও জলাভূমি ধ্বংসের মুখে, নদী আর সাগর তীব্র দূষণের কবলে, প্রাকৃতিক বনাঞ্চল উজাড় করে গড়ে উঠছে আবাদি ভূমি, ঘটছে অপরিকল্পিত শিল্পায়ন ও নগরায়ণ। আর এসবের মূল কারণ হিসেবে রয়েছে আমাদের ভোগবাদী আচরণ, প্রাকৃতিক সম্পদের অতি আহরণ এবং সীমাহীন লোভ। 
কোটি কোটি মানুষের শ্বাস নেওয়ার জন্য অক্সিজেন জোগান দেওয়া, জীবন-জীবিকার উপায় সৃষ্টি, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবস্থা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সহায়ক ভূমিকা পালনÑসবকিছুই প্রকৃতির অবদান। 
এমনকি, আমাদের ভেতরের মানবিক আবেগ, আর শৈল্পিক অনুভূতিকে জাগিয়ে তোলার অনুপ্রেরণাও প্রকৃতি থেকেই পাই আমরা। 

বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাসে অথবা বাংলাদেশে আঘাত হানা বড় বড় সাইক্লোনের সময় সুন্দরবন এবং উপকূলীয় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল লাখো মানুষের জীবন বাঁচাতে রক্ষাকর্তার ভূমিকা পালন করেছে। তাই প্রকৃতিতে জীবজগৎ ও উদ্ভিদ জগতের যথার্থ সহাবস্থান আর সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য যে মানুষের নিজের টিকে থাকার পূর্বশর্ত, সে কথা বলাই বাহুল্য যে।

কিন্তু যে প্রকৃতি বা পরিবেশ বারেবারে আমাদের রক্ষা করছে, তাকে রক্ষা করতে আমরা কি যথেষ্ট উদ্যোগ নিতে পেরেছি? মানুষের প্রতিদিনের জীবনধারায় পরিবেশ অবান্ধব কার্যকলাপের ফলে সৃষ্টি হচ্ছে দূষণ আর এর ফলে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণ-প্রকৃতির বিলুপ্তি ঘটছে, হারিয়ে যাচ্ছে প্রাণবৈচিত্র্য। 

আজ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল, প্রবাল প্রাচীর ও জলাভূমি ধ্বংসের মুখে, নদী আর সাগর তীব্র দূষণের কবলে, প্রাকৃতিক বনাঞ্চল উজাড় করে গড়ে উঠছে আবাদি ভূমি, ঘটছে অপরিকল্পিত শিল্পায়ন ও নগরায়ণ। আর এসবের মূল কারণ হিসেবে রয়েছে আমাদের ভোগবাদী আচরণ, প্রাকৃতিক সম্পদের অতি আহরণ এবং সীমাহীন লোভ। 

বিদ্যমান রৈখিক অর্থনৈতিক মডেল আমাদের এগিয়ে দিচ্ছে একধরনের অস্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিকে, যাকে আর যাই বলা যাক না কেন, অন্তত টেকসই বলা চলে না। পৃথিবী এখন ষষ্ঠবারের মতো জীব বৈচিত্র্যের মহা বিলুপ্তির দোরগোড়ায়, যার ফল আমাদের সবাইকেই ভোগ করতে হবে। 

সামগ্রিকভাবে মানুষ পৃথিবীর স্থলজ, সামুদ্রিক এবং জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণী জগতের সামঞ্জস্য যেভাবে বিনষ্ট করে চলছে, এতে এবার অন্যভাবে চিন্তা করার সময় এসেছে। আমাদের বিদ্যমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিকনির্দেশনাকে পুনর্মূল্যায়ন করে পরিবেশবান্ধব আকারে আনার সময় এসেছে। আর নয়তো আমরা আসন্ন ধ্বংসের হাত থেকে পৃথিবীকে আর জীবজগৎকে বাঁচানোর আশা করতে পারি না। 

এ বছরের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য হিসেবে আমরা নির্ধারণ করেছি-‘সময় এখন প্রকৃতির’। বিশ্ববাসীকে অবশ্যই মানতে হবে যে করোনাভাইরাসের মতো বৈশ্বিক মহামারির নাটকীয় উদ্ভব ও ক্রম বিস্তারের পেছনে কোথাও না কোথাও প্রকৃতির জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি, বাস্তুসংস্থানের ক্ষয় এসব কিছুর দীর্ঘমেয়াদি কুপ্রভাব কাজ করছে। বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য একে বলা যেতে পারে একধরনের জাগরণী সংকেত। এখনও আমরা সম্মিলিত এবং দ্রুত পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি ও বিলুপ্তি প্রতিহত করতে পারি।

আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) হিসেব অনুযায়ী প্রায় ১৬১৯ প্রজাতির প্রাণী বাংলাদেশে দ্রুতই বিলুপ্ত হয়ে যাবে। 

আবার জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) আরেক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০১৫ সাল পর্যন্ত সারা বিশ্বব্যাপী ১ দশমিক ৪ শতাংশ বনাঞ্চল হারিয়ে গেছে, বাংলাদেশে যার পরিমাণ প্রায় ২ দশমিক ৬ শতাংশ। এই প্রতিবেদনে জীববৈচিত্র্য হ্রাসের পাঁচটি প্রধান কারণকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছেÑভূমি-ব্যবহারের পরিবর্তন, প্রাকৃতিক সম্পদের অতি আহরণ, জলবায়ু পরিবর্তন, চরম আবহাওয়া এবং আগ্রাসী প্রজাতির দ্রুত বিস্তার। এ ধরনের আশঙ্কাজনক প্রবণতা অর্থনীতি, সমাজ, জনজীবন ও জীবিকা, খাদ্য সুরক্ষা, জল সুরক্ষা আর সেই সঙ্গে মানুষের জীবনমানকে বিপন্ন করে তুলছে। 

সাম্প্রতিক সময়ে, বাস্তুসংস্থান চলে এসেছে ঝুঁকির প্রান্তসীমায়। আর এই সীমা যদি পার হয়ে যায় তবে বাস্তুসংস্থানগুলোর কাঠামো, কার্যক্রম এবং সেবার পরিধিতে অকল্পনীয় পরিবর্তন ঘটবে। আর এর নেতিবাচক কুপ্রভাব পড়বে পরিবেশগত, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক ক্ষেত্রে। 

মানুষ ও পৃথিবীর সুস্বাস্থ্য যে এক সুতোয় গাঁথা তা কোভিড-১৯ মহামারি এসে প্রমাণ করে দিল। গবেষণায় দেখা গেছে, এখন যেকোনো সংক্রামক রোগের উত্থান ও বিস্তারের সংখ্যা তিনগুণের চেয়েও বেশি বেড়েছে। ১৯৮০ সাল থেকে 
দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি রোগের উৎস ছিল প্রাণিজ।

এ ছাড়াও জানা গেছে, মানুষের সব সংক্রামক রোগের মধ্যে ৬০ শতাংশ প্রাণীবাহিত। কোভিড-১৯, ইবোলা, এসএআরএস, সোয়াইন ও অ্যাভিয়ান ফ্লু, এইচআইভিসহ প্রাণীর মাধ্যমে ছড়ায়। আর এসব রোগের নাটকীয় বৃদ্ধিজড়িত প্রাকৃতিক বাসস্থানগুলোর ধ্বংস ও অবনতি, জীববৈচিত্র্য এবং বাস্তুসংস্থানের পরিষেবা হ্রাস, বন্যপ্রাণীর অবৈধ শিকারসহ বিভিন্ন কারণে এবং অদক্ষ পরিচালনায় প্রাণিসম্পদ চাষের সঙ্গে।

বিশ্ব অর্থনীতি জীববৈচিত্র্য এবং বাস্তুসংস্থানের সঙ্গে জড়িত। যেমন ফসলের পরাগায়ণ, জল পরিশোধন, দূষণ নিয়ন্ত্রণ, কার্বন স্বতন্ত্রকরণ ইত্যাদি মানুষের সুস্থতার জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ। আইপিবিইএসর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জীববৈচিত্র্যের দ্বারা সরবরাহিত পণ্য ও পরিষেবাদির মূল্য প্রতি বছর ১২৫ -১৪০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার সমান যা বিশ্বব্যাপী জিডিপির আকারের দেড়গুণ বেশি। জীববৈচিত্র্য হ্রাসের ফলে ব্যয় বেশি এবং এটি আরও বাড়তে পারে। বর্তমানে, বৈশ্বিক জিডিপির ০.০০২০ শতাংশ এরও কম জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। 

তবে সংরক্ষণের জন্য বরাদ্দ বর্তমান বিনিয়োগের চেয়ে চারগুণ বেশি প্রয়োজন। প্রাকৃতিক সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশের জন্য ২.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। অথচ সরকারের বিনিয়োগ পরিকল্পনা অনুসারে এখানে অনুদানের ঘাটতি রয়েছে ১.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটি এখন স্পষ্ট যে জীববৈচিত্র্য ক্ষতি পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ অর্থনীতির জন্যেও লাভজনক। 

নিম্ন-মধ্যম আয়ের একটি জনবহুল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উন্নয়নের বিষয়ে কোনোধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে উন্নয়ন ও সংরক্ষণের মধ্যে একটি সূক্ষ্ম ভারসাম্য নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। নীতি, নিয়ন্ত্রণ কাঠামোগুলো এবং সব ক্ষেত্রের কর্মপরিকল্পনাগুলো একযোগে প্রাকৃতিক সম্পদের অবক্ষয় রোধে সমন্বয় করা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে জাতীয় এবং স্থানীয় সরকার, বেসরকারি খাত, নাগরিক সমাজ এবং ব্যক্তিসহ সবাইকে নিয়ে সবধরনের উন্নয়ন পরিকল্পনা, প্রোগ্রামিং এবং বাজেট প্রক্রিয়ায় প্রকৃতিবান্ধব সমাধান নিশ্চিত করতে হবে।

সরকারি, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক অর্থায়নে সৃষ্ট একটি জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ তহবিল গঠনের প্রয়োজন যা, প্রকৃতি ও পরিবেশবান্ধব সমাধানের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এ ছাড়া বর্তমান অর্থ ঘাটতি হ্রাস করে পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নে সহায়তা করবে। এ জাতীয় অর্থ পরিকল্পনায়, ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণ দরকার, যা সুনির্দিষ্ট দেশের জন্য তুলনামূলক অর্থায়ন তদারকি এবং রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে সম্ভব হতে পারে। 

পরিবেশ সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি নিজেদের পরিবেশ বিষয়ক রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি হিসেবে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ‘প্ল্যানেটারি ইমার্জেন্সি’ ঘোষণা করে, যা এসব কার্যক্রমের পরিপূরক। এ ধরনের নীতিগত হস্তক্ষেপ ছাড়াও আমাদের বিদ্যমান সব নিয়ন্ত্রণ পদক্ষেপ মেনে চলতে এবং তা কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে।

বাংলাদেশের সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা করে উন্নয়ন করতে হবে। এ জন্য যথেষ্ট জ্ঞান ও প্রযুক্তি বাংলাদেশের আছে। 
প্রকৃতিকে সুরক্ষা না দিয়ে মানুষের উন্নয়ন সম্ভব নয়। নিজেদের উন্নয়ন করতে গিয়ে প্রকৃতিকে ধ্বংস করা হলে সেই উন্নয়ন টেকসই হবে না। তাই প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যকে রক্ষা করে উন্নয়নের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। 

জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য অনুরাগী মন নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের এমন রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি দরকার যাতে করে প্রকৃতিবান্ধব সমাধানের লক্ষ্যে নীতিনির্ধারকরা কৌশলগত পরিবর্তন আনতে পারেন। একই সঙ্গে জনসাধারণ 
নিজেদের প্রাণ প্রকৃতিকে বিনষ্ট না করেই সবুজ ও স্থিতিশীল অর্থনৈতিক বিকাশের জন্য দায়িত্বশীল পদক্ষেপ রাখতে পারে।

সময়ের আলো/আরএস/ 




















https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close