মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের মধ্যে অস্ত্রসহ উখিয়া উপজেলার পালংখালী সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী ২২ রোহিঙ্গার তিনদিন করে রিমাণ্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গ্যা ২২ জনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে উখিয়ার পালংখালী সীমান্ত থেকে অস্ত্রসহ আটকের পর বিজিবির করা মামলায় ২৩ জনের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর কারাগারে থাকা মো: সাদেক নামের এক রোহিঙ্গা অসুস্থ হওয়ায় তার রিমাণ্ডের অনুমতি প্রদান করেননি বিচারক।
গ্রেফতারকৃত ২৩ রোহিঙ্গা হলেন- উখিয়ার বালুখালী ৮ নম্বর ক্যাম্পের মো: হোসেন আহমদ, একই ক্যাম্পের মো: রফিক, আয়াতুল্লাহ, ৯ নম্বর ক্যাম্পের মো: জুনাইদ, একই ক্যাম্পের মো: হারুন, মো: কায়সার, মো: সাবের, ১০ নম্বর ক্যাম্পের ওসামা, একই ক্যাম্পের ওমর ফারুক, মো: সাদেক, হারুন অর রশিদ, ইয়াসিন আরাফাত, মো: ইসমাইল, মো: রহিম, ১১ নম্বর ক্যাম্পের নজু মোল্লা, ১৫ নম্বর ক্যাম্পের সৈয়দ উল্লাহ, একই ক্যাম্পের হাফেজ আহমেদ, ২০ নম্বর ক্যাম্পের মো: জোবায়ের, কুতুপালং এলাকার ৬ নম্বর ক্যাম্পের আব্দুল্লাহ, একই এলাকার ৩ নম্বর ক্যাম্পের এনামুল হাসান, ২ ক্যাম্পের মো: রফিক, একই ক্যাম্পের সৈয়দুল ইসলাম, ৭ নম্বর ক্যাম্পের মো: আরমান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উখিয়ার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাছির উদ্দিন মজুমদার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ৯ ফেব্রুয়ারি রহমতের বিল সীমান্ত দিয়ে ২৩ রোহিঙ্গা অস্ত্রসহ অনুপ্রবেশ করলে বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের পালংখালী বিওপির নায়েব সুবেদার মো: শহিদুল ইসলাম তাদের আটকের পর মামলা করেন। এই মামলার অধিকতর তদন্ত ও কেন তারা অস্ত্রসহ বাংলাদেশে প্রবেশ করছিল তা জানতে ১০ দিন করে রিমাণ্ড আবেদন করেছিলাম। আদালত শুনানি শেষে ২২ জনের তিন দিন করে রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন। একজন অসুস্থ থাকায় তার রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়নি।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন,‘মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশকালে অস্ত্রসহ গ্রেফতার ২৩ রোহিঙ্গা উখিয়ার বালুখালী ও কুতুপালংয়ের বিভিন্ন ক্যাম্পের বাসিন্দা। স্বাভাবিক কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছেড়ে এসব রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের যাওয়ার কথা না। কিন্তু কি কারণে মিয়ানমারে গেল আর তাদের হাতে অস্ত্র কেন? এমন প্রশ্নের উত্তর পাওয়া জরুরি। রিমাণ্ডে এসব প্রশ্নের উত্তর বের করার চেষ্টা করা হবে।
সময়ের আলো/জিকে