প্রকাশ: শনিবার, ১১ মে, ২০২৪, ৮:০৬ এএম (ভিজিট : ৮১৮)
পুজোর পরব কাছে। ভান্ডার নানা সামগ্রীতে ভরা। কত বেনারসি কাপড়, কত সোনার অলংকার; আর ভা- ভরে ক্ষীর দই, পাত্র ভরে মিষ্টান্ন।
মা সওগাত পাঠাচ্ছেন।
বড় ছেলে বিদেশে রাজসরকারে কাজ করে; মেজ ছেলে সওদাগর, ঘরে থাকে না; আর-কয়টি ছেলে ভাইয়ে ভাইয়ে ঝগড়া করে পৃথক পৃথক বাড়ি করেছে; কুটুম্বরা আছে দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে।
কোলের ছেলেটি সদর দরজায় দাঁড়িয়ে সারা দিন ধরে দেখছে, ভারে ভারে সওগাত চলেছে, সারে সারে দাসদাসী, থালাগুলো রংবেরঙের রুমালে ঢাকা।
দিন ফুরোল। সওগাত সব চলে গেল। দিনের শেষ নৈবেদ্যের সোনার ডালি নিয়ে সূর্যাস্তের শেষ আভা নক্ষত্রলোকের পথে নিরুদ্দেশ হলো।
ছেলে ঘরে ফিরে এসে মাকে বলল, ‘মা, সবাইকে তুই সওগাত দিলি, কেবল আমাকে না।’
মা হেসে বললেন, ‘সবাইকে সব দেওয়া হয়ে গেছে, এখন তোর জন্য কী বাকি রইল এই দেখ।’
এই বলে তার কপালে চুম্বন করলেন।
ছেলে কাঁদো কাঁদো সুরে বলল, ‘সওগাত পাব না?’
‘যখন দূরে যাবি তখন সওগাত পাবি।’
‘আর, যখন কাছে থাকি তখন তোর হাতের জিনিস দিবি নে?’
মা তাকে দু হাত বাড়িয়ে কোলে নিলেন; বললেন, ‘এই তো আমার হাতের জিনিস।’
সময়ের আলো/আরএস/