চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য নজরুল ইসলাম স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অনুমতি না নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৬ মাস ধরে ইউপি সদস্য না থাকায় সাধারণ জনগণের সেবা ব্যাহত হচ্ছে। তাছাড়া পরিষদের মাসিক সভাসহ বিভিন্ন কাজে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট সবাইকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের কোনো অনুমতি না নিয়ে গত ৬ মাস আগে জীবিকার তাগিদে সৌদি আরবে চলে যান নজরুল। তিনি এলাকায় না থাকায় ইউপি থেকে ওয়ারিশ সনদ, জন্ম নিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্স, ওয়ার্ডে বরাদ্দ করা সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা যেমন: ভিজিএফ, ভিজিডি, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতাসহ উন্নয়নমূলক সব সুবিধা পেতে বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে বলে জানান সেবা প্রত্যাশী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। নলুয়া ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী বিষয়টি সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) লিখিতভাবে অবগত করেন।
ইউনিয়ন পরিষদ আইন-২০০৯ এ উল্লেখ আছে যে, কোনো ইউপি সদস্য পরপর তিন কার্যকরী মিটিংয়ে অনুপস্থিত থাকলে তার সদস্যপদ বাতিল হবে এবং সুনির্দিষ্ট কারণে বছরে সর্বোচ্চ তিন মাস ছুটি নিতে পারবেন। এছাড়া জনপ্রতিনিধিদের দেশের বাইরে বহির্গমন করতে হলে তাকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের বাধ্যতামূলক অনুমতি নিতে হবে। এই ইউপি সদস্য স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) (সংশোধন) আইন, ২০১০ এবং ৩৪ এর ৪ (জ) ধারা ভঙ্গ করেছেন।
ইউপি সদস্যের অনুপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী। তিনি বলেন, বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস বলেন, ‘ইউপি সদস্য অনুপস্থিতির বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
বিদেশে থাকায় এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।