ই-পেপার শুক্রবার ৪ অক্টোবর ২০২৪
শুক্রবার ৪ অক্টোবর ২০২৪

ঝুঁকিতে অর্থনীতি
প্রকাশ: শনিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৪, ৮:০০ এএম  (ভিজিট : ৪৭৮)
অর্থনৈতিক সংকট আরও গভীর হচ্ছে দেশে। অর্থনীতির একটি সূচকও এখন ভালো অবস্থানে নেই। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত কমছে। সরকারের হাতে ব্যয় করার মতো রিজার্ভ আছে ১৫ বিলিয়ন ডলার, যা দিয়ে মাত্র তিন মাসের রফতানি ব্যয় মেটানো যাবে। বিগত কয়েক মাস ধরেই রেমিট্যান্স তুলনামূলক কম আসছিল দেশে, ছাত্র আন্দোলন পরবর্তী অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে রেমিট্যান্স আরও কমে গেছে। গত 

প্রায় দুই বছরের অধিক সময় ধরে ডলারের বাজারের টালমাটাল অবস্থা এখন আবার নতুন করে বেসামাল হয়ে উঠেছে। রফতানি আয়ও কমছে ধারাবাহিকভাবে। আর উচ্চ মূল্যস্ফীতির কষাঘাত চলছে দীর্ঘদিন ধরে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বর্তমানে এই পাঁচটি দিক নিয়েই বড় ঝুঁকি তৈরি হয়েছে দেশের অর্থনীতিতে।
এ ছাড়া ১০০ বিলিয়ন ডলারের যে বিদেশি ঋণ রয়েছে তার সুদসহ পরিশোধ করা, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ কমে যাওয়া, কর্মসংস্থান সৃষ্টি না হওয়া ও শিল্পে গ্যাস-বিদ্যুতের সংকটও এখন অর্থনীতির জন্য বড় সমস্যা। এই অবস্থার মধ্যে ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশে যে সংকট রয়েছে তা যদি আরও দীর্ঘায়িত হয় তা হলে দেশের অর্থনীতি একেবারে কোমায় চলে যাবে বলে মত অর্থনীতিবিদদের।

অর্থনীতিতে প্রধান পাঁচটি সূচকের অবস্থা আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে আন্দোলন। কারণ এই আন্দোলন ও পরবর্তী অস্থিতিশীলতার প্রভাবে কমে গেছে রেমিট্যান্স। সদ্য বিদায়ি জুলাই মাসে ১৯১ কোটি মার্কিন ডলারের যে রেমিট্যান্স এসেছে তা গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর প্রভাবে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বা রিজার্ভ এক মাসে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন বা ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার কমে গেছে। একই সঙ্গে দেশে ডলারের দামে আবারও অস্থিরতা শুরু হয়েছে। ঢাকার খোলাবাজারে প্রতি মার্কিন ডলারের দাম বেড়ে ১২৪-১২৫ টাকায় উঠেছে। দুই সপ্তাহ আগেও ডলারের দাম ১১৮-১১৯ টাকার মধ্যে ছিল। সদ্য বিদায়ি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রফতানি আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬৬১ কোটি ডলার কম। দেশে এখন ১০ শতাংশের মতো মূল্যস্ফীতি রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সময়ের আলোকে বলেন, বিগত দুই থেকে তিন বছর ধরেই দেশের অর্থনীতি এক রকম খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। আমরাও বিভিন্ন সময় বলে আসছি, দেশের অর্থনীতি ভালো নেই, দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে-সরকার যেন প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়। কিন্তু সরকার সময়মতো কোনো পদক্ষেপই নেয়নি। যার কারণে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কোনো উন্নতি না হয়ে আরও অবনতি হয়েছে। এই সংকটাপন্ন অবস্থার মধ্যে গত মাস থেকে শুরু হওয়া ছাত্র আন্দোলন ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি দেশের অর্থনীতির সর্বনাশ ডেকে এনেছে। এই অস্থিতিশীলতার নেতিবাচক প্রভাব ইতিমধ্যেই বেশ ভালোভাবেই পড়তে শুরু করেছে অর্থনীতির ওপর। বলা যায়, দেশের অর্থনীতি ধীরে ধীরে কোমায় চলে যাচ্ছে। সামনে যদি পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়, তা হলে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে দেশের অর্থনীতি-সেটিই দেখার বিষয়। আমার মনে হচ্ছে দেশের অর্থনীতির জন্য আরও খারাপ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে।

বড় দুশ্চিন্তা রিজার্ভ নিয়ে : রিজার্ভের দ্রুত ক্ষয়-অর্থনীতির জন্য বড় চিন্তার কারণ এখন। কারণ গত এক মাসে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বা রিজার্ভ এক মাসে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন বা ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার কমে গেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের যে হিসাব করে, তাতে গত জুন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ১৭৯ কোটি ডলার। জুলাই শেষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৯ কোটি ডলারে। বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের সর্বশেষ যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে এ চিত্র পাওয়া গেছে। অন্যদিকে রিজার্ভের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী,  এক বছরের ব্যবধানে মোট রিজার্ভ কমেছে ৩৮১ কোটি ডলার। গত বছরের জুলাই শেষে মোট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৯৭৩ কোটি ডলার। বিপিএম৬ অনুযায়ী জুলাই শেষে সেটি কমে ২ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের নিচে নেমেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক কয়েকটি পদ্ধতিতে রিজার্ভের হিসাব করে। তার মধ্যে একটি মোট রিজার্ভ। অন্যটি আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ। এর বাইরে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভেরও একটি হিসাব রয়েছে, সেটি এখন ১৫ বিলিয়ন ডলার। যা দিয়ে মাত্র তিন মাসের রফতানি ব্যয় মেটানো যাবে।

আশঙ্কাজনক হারে কমছে রেমিট্যান্স : দেশে প্রবাসী আয় আসা আশঙ্কাজনকহারে কমে গেছে। সদ্য বিদায়ি জুলাই মাসে যে আয় এসেছে, তা গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। জুলাই মাসে প্রবাসী আয় এসেছে প্রায় ১৯১ কোটি মার্কিন ডলার। এর আগে সবশেষ গত বছরের সেপ্টেম্বরে সর্বনিম্ন ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ডলার প্রবাসী আয় এসেছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রবাসী আয়-সংক্রান্ত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে সরকারি ও সাধারণ ছুটি মিলিয়ে গত ১৯ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ব্যাংক বন্ধ ছিল। এ ছাড়া টানা ৫ দিন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ও ১০ দিন মোবাইলে ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। এ কারণে দেশের ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বৈদেশিক লেনদেন প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। জানা যায়, গত মাসের প্রথম ৩ সপ্তাহে গড়ে ৪০ থেকে ৫০ কোটি ডলার প্রবাসী আয় এসেছিল। এর মধ্যে ১ থেকে ২০ জুলাই এসেছে ১৪২ কোটি ৯৩ লাখ ডলার। আর ২১ থেকে ৩১ জুলাই আয় এসেছে ৪৭ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। এর মধ্যে গত ৩১ জুলাই এক দিনেই এসেছে ১২ কোটি ডলার। অথচ গত জুনে ২৫৪ কোটি ডলার আয় দেশে পাঠিয়েছেন বিশে^র বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

ডলারের বাজার আবার টালমাটাল : হঠাৎ করেই দেশে আবার ডলারের বাজারে টালমাটাল অবস্থা দেখা দিয়েছে। ঢাকার খোলাবাজারে প্রতি মার্কিন ডলারের দাম বেড়ে ১২৪-১২৫ টাকায় উঠেছে। দুই সপ্তাহ আগেও ডলারের দাম ১১৮-১১৯ টাকার মধ্যে ছিল। খাত-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অবশ্য মনে করেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণেই মূলত খোলাবাজারে প্রভাব পড়েছে। খোলাবাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে ফেরার সময় প্রবাসীরা নিজেদের সঙ্গে করে যে ডলার নিয়ে আসেন, সেগুলো খোলাবাজারে বিক্রি হয়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদেশ থেকে মানুষ আসা কমে যাওয়ায় ডলারের সরবরাহও কমেছে। এতেই ডলারের সংকট তৈরি হয়েছে। ফলে দাম বেড়ে গেছে। ডলারের দাম এভাবে বাড়তে থাকলে খাদ্যপণ্যসহ সব ধরনের পণ্য আমদানি ব্যয় আরও বেড়ে যাবে। এতে মূল্যস্ফীতিও বেড়ে যাবে।

এই পরিস্থিতিতে ডলার লেনদেনের তথ্য ৮ ঘণ্টার মধ্যে জমা দিতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের তথ্য নিয়মিত ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানোর নিয়ম রয়েছে। এই তথ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার ড্যাশবোর্ডে জমা দিতে হয়। কিন্তু অনেক ব্যাংকই তা মানছে না বলে অভিযোগ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এমন পরিস্থিতিতে বৈদেশিক মুদ্রার সঠিক লেনদেনের তথ্য আট কর্মঘণ্টার মধ্যে ড্যাশবোর্ডে জমা দিতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ দাওয়াতে কোনো কাজ হবে না বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

ধারাবাহিকভাবে কমছে রফতানি আয় : দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করার আরেক বড় মাধ্যম হচ্ছে রফতানি আয়। অথচ এই খাতটিতেও ধারাবাহিকভাবে মন্দাভাব চলছে। সদ্য বিদায়ি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ পণ্য রফতানি করে ৫ হাজার ৫২৮ কোটি ৮১ লাখ ডলার আয় করেছে, যা গত বছরের তুলনায় ০.৪৯ শতাংশ কম। ২০২২-২৩ অর্থবছরে রফতানি আয় হয়েছিল ৫ হাজার ৫৫৫ কোটি ৮৭ লাখ ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ছিল ৬.৬৭ শতাংশ। অথচ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য সরকারের বেঁধে দেওয়া ৬ হাজার ২০০ কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬৬১ কোটি ডলার কম। বৈশ্বিক রাজনৈতিক অস্থিরতা, রফতানি গন্তব্যে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও অর্থনৈতিক সংকট এবং উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কারণে চলতি অর্থবছরের রফতানি আয়ে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর বাইরে গত প্রায় তিন বছর ধরে দেশে পণ্যমূল্য অস্বাভাববিক হারে বেড়েছে। এ জন্য মূল্যস্ফীতির হার বাড়তে বাড়তে এখন দুই অঙ্কের কোটায় ঠেকেছে। যার কারণ দেশের সাধারণ মানুষকে চরম মূল্য দিতে হচ্ছে। এ অস্থিরতার কারণে পণ্যমূল্য দফায় দফায় বেড়েই চলেছে। ফলে মূল্যস্ফীতির হার যে আরও বাড়বে-সেটি নিশ্চিত করেই বলা যায়।

এ ছাড়া দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ কমে গেছে। বিনিয়োগ কমে যাওয়ার কারণে দেশে নতুন কর্মসংস্থানও একরকম থমকে গেছে। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, বিনিয়োগ কম হওয়া ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি না হওয়ার কারণে বেকারত্বের হার বাড়বে, একই সঙ্গে দারিদ্র্যের হারও বাড়বে। 

শোধ দিতে হবে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বিদেশি ঋণ ও সুদ : বর্তমানে বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ ১০০ বিলিয়ন বা ১০ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। বিদেশি বিভিন্ন উৎস থেকে নেওয়া ঋণের স্থিতি ছিল ১০০ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন (১০ হাজার ৬৪ কোটি) ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে) এ ঋণের পরিমাণ ১১ লাখ ৭ হাজার ৪০ কোটি টাকা। দেশের মোট বিদেশি ঋণের ৭৯ শতাংশই নিয়েছে সরকার। বাকি ২১ শতাংশ ঋণ নিয়েছে বেসরকারি খাত। চলতি বছর থেকে ওই বিদেশি ঋণের বেশিরভাগই শোধ দিতে হবে। তাই এটিও অর্থনীতির জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।

সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম সময়ের আলোকে বলেন, আগ থেকেই দেশের অর্থনীতিতে নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে উচ্চ রয়েছে মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের নিম্নমুখিতা, রেমিট্যান্স কমে যাওয়া, রফতানি আয় কমে যাওয়া। বর্তমান পরিস্থিতির কারণে এসব চ্যালেঞ্জ আরও জটিল হলো।

এমনিতেই দেশে এখন ১০ শতাংশের মতো মূল্যস্ফীতি রয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়েছে। তবে অর্থনীতির এই সংকট এক দিনে হুট করে সৃষ্টি হয়নি। এখন অর্থনৈতিক সংকট গভীর থেকে গভীর হলেও নীতিনির্ধারকরা আমলে নিচ্ছে না। অর্থনীতি নিয়ে সরকারের কোনো মাথা ব্যথা আছে বলে মনে হয় না। কারণ সরকার এখন দেশের সংকট কীভাবে মেটাবে সেদিকেই সব নজর দিয়ে রেখেছে। কিন্তু ভেতরে ভেতরে অর্থনীতির সর্বনাশ হয়ে যাচ্ছে-এ দিকে কোনো নজর নেই।

সময়ের আলো/আরএস/





https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close