প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬:১৩ পিএম (ভিজিট : ২২৬)
সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীতে ফারজানা আক্তার (২৭) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। অন্যদিকে নিহত গৃহবধূর শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা আত্মহত্যা বলে দাবি করলেও বাবার বাড়ির লোকজন বলছেন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত গৃহবধূ ভাটিয়ারী ৫নং ওয়ার্ড মৌলভীপাড়া আখেরুজ্জামান বাড়ির মো. ইউনুসের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সীতাকুণ্ড উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের আবু তাহেরের চতুর্থ মেয়ের সাথে ভাটিয়ারী ইউনিয়নের প্রবাসী মো. ইউনুসের ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। তাদের আড়াই বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
নিহতের বড় বোন পারুল আক্তার বলেন, ‘আমার বোন আত্মহত্যা করেনি। শ্বশুর বাড়ির লোকজন মেরে গলায় ফাঁস দিয়েছে। তার শরীরের বেশিরভাগ অংশ মাটির সাথে ছিল। এটা কিভাবে আত্মহত্যা হয়? ফারজানা আগের দিন রাতেও ফোন করে বলেছে, তার স্বামী, দেবর, ভাসুর এবং তাদের বউরা তাকে নির্যাতন করেছে।’
ফারজানার বাবা আবু তাহের বলেন, ‘আমার মেয়ে যদি ফাঁস খেতো, তাহলে পা দুটো কেন মাটিতে লাগানো। তারা আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমি এটা সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’
নিহত গৃহবধূর ভাসুর সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘পারিবারিক একটা ঝামেলা নিয়ে আমরা সকলে থানায় ছিলাম। আমার ভাইও ছিল চাকরিতে। বাসায় ছিল আমার দুই ভাইয়ের বউ। আসলে এখন কেমনে কি হইছে আমি কিছু বলতে পারতেছি না। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে আসলে সঠিক বিষয়টি বলতে পারবো।’
ফারজানার স্বামী মো. ইউনুস বলেন, ‘আমার স্ত্রীর সাথে কখনো আমার বা পারিবারের ঝগড়া হয়নি। আমি ঘরে ছিলাম না, চাকরিতে ছিলাম। কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে তা বলতে পারছি না।’
এ বিষয়ে সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ি এসআই আশরাফ সিদ্দিকী বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গৃহবধূর লাশটি উদ্ধার করেছি। এই মুহূর্তে কিছুই বলতে পারছি না। গৃহবধূ কি আত্মহত্যা করেছে, না অন্য কোনভাবে মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসলে সঠিক কারণ জানাতে পারবো বলে জানান তিনি।
সময়ের আলো/আরআই