প্রকাশ: বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১:২২ এএম (ভিজিট : ১৯২)
ইউক্রেনের পোল্টভা নগরীতে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ৪৭ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির ফার্স্ট লেডি। এ হামলায় আহত হয়েছে আরও ২০০ বেশি মানুষ। প্রাথমিক খবরে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং একটি হাসপাতালে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হওয়ার খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, মানুষজন বোমা শেল্টারে যাওয়ার সময় হামলার শিকার হয়েছে। বিমান হামলার সতর্ক সংকেত বাজার পরপরই এ হামলা হয়। বিবিসি ও রয়টার্স।
পোল্টভায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এত সংখ্যক মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটা ইউক্রেনের জন্য স্পষ্টতই খুবই কালো একটি দিন। ফ্রন্টলাইন থেকে দূরে পূর্ব-মধ্য ইউক্রেন অঞ্চলে পোল্টভায় প্রধান শহর হিসেবে রাশিয়ার হামলার নিশানা হয়েছে।
বিবিসি জানায়, হামলায় সম্ভবত ইস্কান্দর-এম ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ৫০০ কিলোমিটার। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী সোমবার রাতে ক্রাইমিয়া থেকে ইস্কান্দর ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে বলে জানায়।
এর আগে জেলেনস্কি জানিয়েছিলেন, হামলায় ৪১ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ১৮০ জনেরও বেশি। অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, হামলার সতর্কতা এবং ক্ষেপণাস্ত্র আগমনের মধ্যে সময়ের ব্যবধান এত কম ছিল যে, মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়ার মধ্যেই ঘটনাটি ঘটে যায়।
হামলা এবং পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে পূর্ণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট। রুশ হামলা মোকাবিলায় বারবার মিত্র দেশগুলোর কাছে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র চেয়ে আসছেন জেলেনস্কি।
এদিনও তিনি বলেছেন, যাদের এই সন্ত্রাস মোকাবিলার সক্ষমতা রয়েছে, তাদের কাছে আমরা বারবার বলেছি, ইউক্রেনে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও ক্ষেপণাস্ত্র দরকার। সেগুলো অন্য কোনো জায়গায় গুদামে পড়ে থাকলে লাভ নেই। জেলেনস্কি বলেন, কিছুদিন পরে নয়, রাশিয়ার সন্ত্রাস থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারে এমন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এখনই প্রয়োজন। দুর্ভাগ্যবশত, একেকটি দিন বিলম্বের অর্থ আরও প্রাণহানি। পোল্টাভায় হামলার জন্য রাশিয়াকে অবশ্যই মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
সময়ের আলো/আরএস/