প্রকাশ: বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২:০২ পিএম (ভিজিট : ১৩৪)
সচিবালয়ের সামনে আনসার সদস্যদের হামলায় আহত হয়ে শাহিন হাওলাদার (৪৫) নামে এক ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। পেশায় রেন্ট-এ কারের গাড়ি চালক ছিলেন তিনি।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে মারা যান তিনি। গত (২৫ আগস্ট) রাতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় তিনি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে নিহত শাহিনের ছেলে বিশাল আহমেদ জানান, তাদের বাড়ি বাগেরহাট জেলার মোংলা থানার কচুবুনিয়া গ্রামে। বর্তমানে খিলগাঁও গোড়ান ৩০ নম্বর রোডে একটি বাসায় ভাড়া থকেন তারা। তার বাবা পেশায় রেন্ট-এ কারের গাড়ি চালক ছিলেন।
বিশাল আরো জানান, বন্ধুদের নিয়ে ছাত্র আন্দোলনের প্রথম থেকেই রাজপথে ছিলাম তারা। গত ২৫ আগস্ট সাধারণ আনসার সদস্যরা যখন সচিবালয় ঘেরাও করেন, রাতে যখন শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ে উপস্থিত হয় তখন তাদের উপর হামলা করে আনসাররা। তখন তারা কয়েকজন বন্ধু মিলে সচিবালায়ের সামনে গিয়েছিলেন। রাত ৯ টার দিকে সচিবালয়ের দুই পাশে আনসার সদস্যরা অবস্থান নিলে মাঝখানে আটকা পড়েন তারা। সেখান থেকে বের হওয়ার জন্য তার বাবাকে ফোন দেন বিশাল।
তিনি আরো জানান, ফোন পেয়ে সচিবালয়ের সামনে বিশালকে খুঁজছিলেন শাহিন। তখন আনসার সদস্যরা লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে শাহিনকে। অনেকক্ষণ পর তার বাবার ফোনে কল করলে তখন এক শিক্ষার্থী ফোন রিসিভ করে জানান, আনসার সদস্যরা তার বাবাকে আঘাত করেছে। সঙ্গে সঙ্গে বাবার কাছে গিয়ে তাকে আহত অবস্থায় ওই রাতেই ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার মাথায় অস্ত্রোপচার হয়। রাখা হয় লাইভ সাপোর্টে। চিকিৎসাধীন আজ সকালে মারা যান।
বিশালের বন্ধু রমজান হাওলাদার বলেন, আমার বন্ধুর বাবা মূলত আমাদেরকে সেদিন সচিবালয়ের সামনে থেকে আনার জন্য গিয়েছিলেন। তবে সেখানে আমাদেরকে খুজে পাচ্ছিলেন না। এসময় আনসার সদস্যরা শিক্ষার্থী মনে করে তাকেও পিটিয়ে আহত করে। তাকে পেটানোর সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওর মধ্যেও তাকে মারধর করতে দেখা গেছে। আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সানাউল হক জানান, পরিবারের আবেদনের পরিপ্রক্ষিতে শাহিন হাওলাদের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সময়ের আলো/জেডআই