প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫:২০ পিএম (ভিজিট : ৯০)
জয়পুরহাটের জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, মুক্তিযোদ্ধা ও ধনাঢ্য ব্যক্তিরা নিজেদের ব্যক্তিগত সুরক্ষায় ৩৯টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দিয়েছিল জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট। ২০০৯ সাল থেকে বিগত সরকারের আমলে তারা আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছিলেন।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বেঁধে দেওয়া সময় গত ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তারা ৩৯টি আগ্নেয়াস্ত্রই সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিয়েছেন।
লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোন আগ্নেয়াস্ত্র বাহিরে নেই বলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জুড়িসিয়াল মুন্সিখানা শাখা সূত্র জানিয়েছে। তবে জয়পুরহাট সদর থানার লুট হওয়া সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বাহিরে রয়েছে। এসব আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে যৌথবাহিনী অভিযান শুরু করেছে।
জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাটে বুধবার থেকে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবের সমন্বয়ে যৌথ বাহিনী অভিযান শুরু করে। যৌথবাহিনী ওইদিন বিকেলে শহরের খঞ্জনপুর, হিচমী, বাইপাসসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে টহল দিয়েছে। লাইসেন্স প্রাপ্ত সবগুলো আগ্নেয়াস্ত্র জমা হওয়ায় এখন সদর থানার লুট হওয়া সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে গুরুত্বসহকারে যৌথ অভিযান চালানো হচ্ছে।
জয়পুরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জুডিশিয়াল মুন্সিখানার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুর রউফ বৃহস্পতিবার সকালে তার কার্যালয়ে বলেন, জয়পুরহাটে ব্যক্তিগত সুরক্ষা পেতে জনপ্রতিনিধি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ধনাঢ্য ব্যক্তিসহ ৩৯ জন আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স পেয়েছিলেন। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক লাইসেন্স প্রাপ্ত সবাই আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিয়েছেন।
জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ নুরে আলম বলেন, যৌথ অভিযান চলছে। যেহেতু আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্সপ্রাপ্তরা সবাই তাদের আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিয়েছেন। সেহেতু এখন থানার লুট হওয়া সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান চলবে।
সময়ের আলো/জিকে