অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর এবং বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটুর অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা প্রত্যাহার করে নিলো দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুদক কমিশনার মো. জহুরুল হকের সই করা মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার অনুমোদনপত্র ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে দাখিল করা হয়।
দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর ও মীর আহমেদ আলী সালাম মামলা প্রত্য্যাহারের পৃথক দুইটি আবেদন করেন। পৃথক দুই আবেদেনের শুনানি গ্রহণ করে বিচারক মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে তাদের অব্যাহতির আদেশ দেন।
মামলা প্রত্যাহারের আবেদনে বলা হয়- ক্রিমিনাল ‘ল’ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যা ১৯৫৮ এর ১০(৪) ধারা ও ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৫ ধারার বিধানে দুদক মামলা ২টির প্রসিকিউশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহারসহ তাদের কোনও সম্পদ ক্রোক, অবরুদ্ধ ও বিদেশ গমনের নিষেধাজ্ঞা থাকলে, তার সব দায় থেকে তাদের অব্যাহতি প্রদান করা প্রয়োজন।
২০২০ সালের ৩০ জুলাই অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এই মামলাটি দায়ের করেন। গত ২৫ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, কোনও ধরনের বৈধ উপার্জন ছাড়াই তৌফিক ইমরোজ খালিদী এইচএসবিসি, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেড এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের চারটি শাখার বিভিন্ন হিসাবে ৪২ কোটি টাকা জমা রেখেছেন। ‘ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে প্রতারণার মাধ্যমে’ তিনি এসব টাকা অর্জন করেছেন বলে মামলায় অভিযোগে বলা হয়।
অপরদিকে, ৯০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বেঙ্গল গ্রুপ লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটুর বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ২৩ এপ্রিল দুদকের উপপরিচালক মোনায়েম হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। গত ১১ জুলাই দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো. কামরুজ্জামান অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্র অনুযায়ী, বেঙ্গল গ্রুপ লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটুর দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ১২ লাখ ৪১ হাজার ৮৩৭ টাকার তথ্য গোপনের প্রমাণ পাওয়া যায়। এর বাইরে দুদকের অনুসন্ধানে ৯০ কোটি ৩২ লাখ ৩০ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া যায়।
সময়ের আলো/জেডআই