রায় শুনে আসামিরা কান্নায় ভেঙে পড়েন
সময়ের আলো ডেস্ক
|
![]() বহুল আলোচিত ফেনীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার রায়ে ১৬ আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এসময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিদের অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন বলে জানিয়েছেন উপস্থিত বেশ কয়েকজন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ২১ মিনিটে রায় ঘোষণা করেন ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মামুনুর রশিদ। নুসরাত হত্যা মামলায় বাদীপক্ষে ছিলেন বিচারিক আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর হাফেজ আহমেদ, অ্যাডভোকেট আকরামুজ্জামান ও অ্যাডভোকেট এম শাহ জাহান সাজু। আর আসামিপক্ষে ছিলেন হাইকোর্টের আাইনজীবী অ্যাডভোকেট ফারুক আহমেদ ও এনামুল হক, ফেনী আদালতের সিনিয়র আইনজীবী গিয়াস উদ্দিন নান্নু, কামরুল হাসান, নূরুল ইসলাম, ফরিদ উদ্দিন নয়ন ও মাহফুজুল হক, আহসান কবির বেঙ্গল, সিরাজুল হক মিন্টুসহ ২০ জন আইনজীবী। মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও নুসরাতের পরিবার। এর আগে সকাল পৌনে ১১টার দিকে মামলার ১৬ আসামিকে প্রিজন ভ্যানে করে তাদের ফেনী জেলা কারাগার থেকে আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। এর ৫ মিনিট পর বিচারক রায় পড়া শুরু করলে ১৬ আসামিকে কাঠগড়ায় তোলা হয়। রায়ের পর্যবেক্ষণে আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডটি মানুষের সামনে আনার জন্য সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান বিচারক। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৬ আসামি হলেন- সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার বরখাস্ত হওয়া অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা, সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি রুহুল আমিন, সোনাগাজী পৌরসভার কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম, মাদ্রাসার শিক্ষক আবদুল কাদের, প্রভাষক আফসার উদ্দিন, মাদরাসার ছাত্র নূর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, সাইফুর রহমান মোহাম্মদ যোবায়ের, জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, কামরুন নাহার মনি, উম্মে সুলতানা পপি ওরফে তুহিন, আবদুর রহিম শরিফ, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন মামুন, মোহাম্মদ শামীম ও মহি উদ্দিন শাকিল।
|