সাধারণ মানুষের সঙ্গে আলেমদের বিচ্ছিন্নতা বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। বিচ্ছিন্নতা শুধু আকিদার ব্যাপারে নয়, বরং দ্বীনের সব মাসায়েলের ক্ষেত্রে বিচ্ছিন্নতার প্রভাব রয়েছে। সব কিছুতেই আলেম-ওলামা ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঐক্য থাকতে হবে। সিলেটের জামেয়া তাওয়াকক্কুলিয়া রেঙ্গা মাদ্রাসার শতবার্ষিকী ও দস্তারবন্দী মহাসম্মেলনে বৃহস্পতিবার আলেম-ওলামাদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়া ঢাকার আমিনুত তালীম মুফতি আব্দুল মালেক।
তিনি আরও বলেন, দ্বীনের ব্যাপারে একতাবদ্ধতার কোনো বিকল্প নেই। ছোটখাটো মতানৈক্য পরিত্যাগ করে দ্বীনের উসুলের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে দারুল উলুম দেওবন্দ হবে আমাদের মাপকাঠি। শুযূয বা বিচ্ছিন্নতা থেকে বাঁচতে হলে উলামা-তুলাবাকে আকাবিরের লেখনী পড়তে হবে। তাদের মাকতুবাত, মালফুজাত পড়তে হবে।
মুফতি আব্দুল মালেক আরও বলেন, আমাদের বর্তমান প্রজন্মের কিছু তরুণ আলেম শরীয়তের স্পর্শকাতর বিষয়ে সিদ্ধান্তমূলক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এসব বিষয়ে তারা শুধু গবেষণালব্দ প্রমাণ উপস্থাপন করছে, তাহকিকি আলোচনা-সমালোচনা অনলাইন-অফলাইনে প্রচার করছে। বাস্তবতা হচ্ছে, তাদের মাধ্যমে শুধু তাহকিক ফুটে উঠছে কিন্তু তারা এর সমাধান কি, বা এসবের সুদূরপ্রসারী ফলাফল সম্পর্কে একেবারেই বেখেয়াল। এসব তরুণদের ব্যাপারে আলেমদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্কতার পরিচয় দিতে হবে। এসব তরুণদের কার্যকলাপে সাধারণ মানুষ আর আলেমদের মাঝে পরিষ্কার একটা বিচ্ছিন্ন ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। আলেমদের ওপর থেকে সাধারণ মানুষের আস্থা উঠে যাচ্ছে। মূলত, এটাও একটা বিচ্ছিন্নতা। সুতরাং আমাদের খুব সতর্কতার সঙ্গে চলতে হবে এবং আগামী নিয়ে ভাবতে হবে।
সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া ওলামা সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা শেখ আহমদ। ওলামা সম্মেলনে অতিথি হিসেবে আরও আলোচনা পেশ করেন মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, মাওলানা শায়খ আব্দুল মতিন, মাওলানা হিফজুর রহমান, মাওলানা আহমদ মায়মুন, মাওলানা আবু সাবের আবদুল্লাহ, মাওলানা তাহমীদুল মওলা, মাওলানা লুৎফুর রহমান ফরায়েজী প্রমুখ।