ই-পেপার বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪

নুর পরিকল্পিতভাবে এই সংঘর্ষ ঘটিয়েছে : সাদ্দাম
প্রকাশ: রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৬:৫০ পিএম  (ভিজিট : ২৭৮)
সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ সাম্প্রতিক সময়ে ভিপি নুরের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে আন্দোলন-আন্দোলন খেলার যে রীতি চালু করেছে তারই অংশ হিসাবে পরিকল্পিত এই সংঘর্ষ ঘটিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন।।

নিজেদের বিপ্লবী ভূমিকা জাহির করার ও সিমপ্যাথি পলিটিক্স-এ  নিজেদের ভাবমূর্তি গড়ার জন্য ষড়যন্ত্রমূলক এই ঘটনা ঘটাতে পারে বলে দাবি করেন সাদ্দাম।

রোববার বেলা ১১টায় ডাকসু ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। এ সময় ডাকসুতে ছাত্রলীগ প্যানেল থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছাত্রলীগ নেতা ও ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন।

সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘২২ ডিসেম্বরের ঘটনায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মনোনীত কোনো ডাকসু প্রতিনিধির বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই। উল্লেখিত সংঘর্ষ, হামলা-পালটা হামলার সঙ্গে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কেউ কোনোভাবেই জড়িত নয়।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য সনজিত চন্দ্র দাস এবং এজিএস সাদ্দামের আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ যেমন পিছু হটেছিল, একই আহ্বানে সাড়া দিয়ে ভিপি নুর পিছু হটলে সংঘর্ষ এড়ানো যেত বলেও মনে করেন সাদ্দাম।

নুরের মামলার আবেদনে অভিযোগের বিষয়টি মিথ্যা দাবি করে তিনি বলেন, ‘সিনেট সদস্য সনজিত চন্দ্র দাস, এজিএস সাদ্দাম হোসেন, সদস্য রাকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য, সদস্য মুহা. মাহমুদুল হাসান সর্বাত্মকভাবে সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করার পরও ভিপি নুর পুলিশের কাছে তাদের নামে মামলার আবেদন করে। স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক সাদ বিন কাদের ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকার পরও মামলার আবেদনে তার নাম যুক্ত করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ এই মিথ্যা অভিযোগ দায়েরের জন্য ভিপি নুরের প্রতি ধিক্কার জানাচ্ছে।’

‘সংঘর্ষে লিপ্তদের প্রকৃত নাম, পরিচয় গোপন করার জন্য ডাকসু ভবনের সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ গায়েব করা হয়। কোটা সংস্কার আন্দোলনের রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ পরিকল্পিতভাবে যারা গায়েব করেছিল, সেই একই পক্ষ সেদিন মূল ফটক বন্ধ করে ডাকসু ভবনে অবস্থান করছিল। তারাই সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব করেছে,' বলেও দাবি করেন ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।

ভিপি নুর পরিকল্পতিভাবে সংঘর্ষে জড়িয়েছে জানিয়ে সাদ্দাম বলেন, ‘ভিপি নুরের টেন্ডারবাজি, তদবির বাণিজ্য, পার্সেন্টেজ আদায় ইত্যাদি অনৈতিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সবার সামনে উন্মোচিত হওয়ার বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে পরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ানো হয়েছে।’

ডাকসু ভবনকে রক্ষা না করে এই ভবনকে অবৈধভাবে ব্যবহার করে নিজের বহিরাগত বাহিনী দিয়ে ভাঙচুরে অংশগ্রহণ করায় ভিপি পদে দায়িত্ব পালনের যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে বলেও দাবি করেন এজিএস সাদ্দাম হোসেন।

এছাড়া সংবাদ সম্মেলন থেকে সাদ্দাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে বেশকিছ দাবি করেন। সেগুলো হচ্ছে- ডাকসু নেতৃবৃন্দ, সিনেট সদস্য, হল সংসদের নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা মামলার অভিযোগ প্রত্যাহার করতে হবে, ডাকসু ভবনের ভেতরে অবস্থিত নুরের সহযোগী বহিরাগতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, ডাকসু ভবন ভাঙচুরের সাথে জড়িত উভয় পক্ষের সদস্যদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, ডাকসু ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিতকরণ ও আইনের আওতায় আনতে হবে, দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ডাকসু ভিপিকে পদত্যাগ করতে হবে। নুরের দু্নীতি তদন্তে কমিটি গঠন করতে হবে, সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করায় নুরের নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে; অন্যথায় তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি করা হয়।




সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close