নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার সময় লক্ষণীয়
মাওলানা শোয়াইব রিফাত
|
![]() আগে আগে মসজিদে যাওয়া : হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘আজান ও প্রথম কাতারে কী পরিমাণ সওয়াব ও পুণ্য রয়েছে তা যদি লোকেরা জানত, আর লটারি করা ছাড়া এই দুই স্থান না পেত, তবে তারা লটারি করে হলেও প্রথম কাতার দখল করত। অনুরূপভাবে যদি তারা আগে আগে মসজিদে আসার সওয়াব ও পুণ্য সম্পর্কে অবগতি লাভ করত, তবে অতি দ্রুতগতিতে তারা সেদিকে অগ্রসর হতো। ঠিক তেমনিভাবে তারা যদি অন্ধকারের ফজরের নামাজে কত পরিমাণ সওয়াব ও পুণ্য তা উপলব্ধি করতে পারত, তবে হাতে-পায়ে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তারা তাতে হাজির হতো।’ (বুখারি : ৬১৫) পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়া : মসজিদের দিকে কদম ফেলা আল্লাহর কাছে অনেক প্রিয়। বান্দা এর মাধ্যমে আল্লাহর দরবারে অনেক উঁচু মর্যাদা অর্জন করেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে এমন বিষয়ের প্রতি দিক নির্দেশনা প্রদান করব না যার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা পাপরাশি ক্ষমা করেন এবং মর্যাদা উঁচু করেন? সাহাবায়ে কেরাম বললেন, জি আল্লাহর রাসুল! তখন মহানবী (সা.) বললেন, কষ্টের সময় ভালোভাবে অজু করা এবং অধিক পরিমাণে মসজিদ অভিমুখে পা ফেলা।’ (মুসলিম : ২৫১) (নাসায়ি : ৭২৯) ডান পা আগে প্রবেশ করানো : মসজিদে প্রবেশের সময় আদবের প্রতি সর্বোচ্চ সতর্ক থাকা। পবিত্র যে কাজ ডান দিক দিয়ে করা নবীজীর শিক্ষা। মসজিদে প্রবেশের সময়ও ডান পা আগে প্রবেশ করানো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন ‘এটাও সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত যে, তুমি ডান পা দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করবে এবং বাম পা দিয়ে তা হতে বের হবে।’ (মুসতাদরাকে হাকেম : ৭৯১) প্রবেশের পর দুই রাকাত নামাজ : আল্লাহর ঘরে প্রবেশ করে প্রথম কর্তব্য হচ্ছে আল্লাহর দরবারে দাঁড়িয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা। এই নামাজকে তাহিয়াতুল মাসজিদ বলে। আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ যখন মসজিদে প্রবেশ করে তখন সে যেন দুই রাকাত নামাজ আদায় করে তারপর বসে।’ (বুখারি : ১১৭২) |