অবৈধ ও নিম্নমানের এমএস রড উৎপাদন বন্ধ এবং উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শিগগিরই বিএসটিআইয়ের অভিযান শুরু করার নির্দেশনা দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এমপি। তিনি বলেন, জননিরাপত্তার স্বার্থে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে। এর পাশাপাশি যেসব রড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অনুমোদন ছাড়াই অনৈতিকভাবে বিএসটিআইয়ের লোগো ব্যবহার করছে, সেগুলোর বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আয়োজিত বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী সোমবার এ নির্দেশনা দেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হেলাল উদ্দিন এনডিসি, বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি শেখ মাসাদুল আলম মাসুদ, বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি জহিরুল হক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদ উল্লাহ, পরিচালক মো. আবুল কালাম, হারুনূর রশিদ, মো. কামরুল ইসলাম, আশরাফ সিদ্দিকীসহ অন্য নেতা এবং শিল্প মন্ত্রণালয় ও বিএসইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে দেশের উদীয়মান স্টিল শিল্পের সম্ভাবনা ও সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা জানান, বর্তমানে বাংলাদেশের স্টিল শিল্পখাতে বিশ^মানের রড উৎপাদিত হচ্ছে। প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেলে দেশীয় কারখানার উৎপাদন থেকে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানির সুযোগ রয়েছে। এক শ্রেণির অসাধু উদ্যোক্তা ভেজাল ও নিম্নমানের রড উৎপাদনের মাধ্যমে এ শিল্পের সুনাম ক্ষুণœ করছে বলে তারা অভিযোগ করেন।
বৈঠকে অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা ভেজাল খাদ্যের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানের মতো ভেজাল ও নিম্নমানের রড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধেও বিএসটিআইয়ের অভিযান জোরদারের তাগিদ দেন। একই সঙ্গে তারা স্টিল শিল্পে যৌক্তিক হারে মার্কিং ফি নির্ধারণের দাবি জানান। শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশীয় শিল্পের স্বার্থ রক্ষায় সরকার সম্ভব সব ধরনের সহায়তা দেবে। গুণগতমানের স্টিল শিল্প উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর যৌক্তিক দাবি সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে। তিনি এমএস রডের ওপর যৌক্তিক হারে মার্কিং ফি নির্ধারণের বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।