ই-পেপার বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪

বিএমডিসির অনুমোদন ছাড়া নামের আগে ডাক্তার লেখা যাবে না
প্রকাশ: বুধবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম  (ভিজিট : ৩১০৬)
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া কেউ নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিতে পারবে না। একটি রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট এ আদেশ দিয়েছেন। জনস্বার্থে হাইকোর্টে এ সংক্রান্ত রিটসহ জনগুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু মামলা পরিচালনা করেছেন
আইনজীবী জে আর খান। 

সময়ের আলোর পক্ষে কথা বলেছেন হিরা তালুকদার

‘বিএমডিসি অ্যাক্ট-২০১০-এর সেকশন ২৯ অনুযায়ী বিএমডিসির নিবন্ধন ও অনুমোদন ছাড়া কোনো চিকিৎসক তার নামের আগে ডাক্তার লিখতে পারবেন না। এমনকি কোনো পদবি, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও প্রশিক্ষণের নামও ব্যবহার করতে পারবেন না। সম্প্রতি হাইকোর্টও একটি রিটের শুনানি করে এমন আদেশই দিয়েছেন। জনস্বার্থে করা একটি রিটের শুনানি করে গত ২০ জানুয়ারি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন।’ এ রিটের আইনজীবী মো. জে আর খান রবিন বলেন, ‘অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সধারীরাই কেবল নামের সঙ্গে ডাক্তার লিখতে পারবেন না, বিষয়টা তা না। অনুমোদনহীনরা তো পারবেনই না, স্বীকৃত কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করে বিএমডিসির নিবন্ধন ও অনুমোদন না পেলে কেউ ডাক্তার লিখতে
পারবেন না।’
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকে প্যারামেডিকেল, ফিজিওথেরাপি কিংবা হোমিওপ্যাথি পাস করে নামের সঙ্গে ডাক্তার লিখে সাইনবোর্ড ও প্যাড ব্যবহার করছেন। তারা কি এটা পারবেন? এমন প্রশ্নে জবাবে আইনজীবী রবিন বলেন, ‘বিএমডিসির অনুমোদন ছাড়া অর্থাৎ এমবিবিএস ও বিডিএস (ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি) পাস ছাড়া কেউ ডাক্তার পদবি ধারণ করতে পারবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক ডাক্তারই পোস্ট-গ্র্যাজুয়েশন না করেও ‘বিশেষজ্ঞ’ শব্দ ব্যবহার করেন। যা জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণার শামিল, বিএমডিসির আইনের পরিপন্থি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অনেক ডাক্তার ওই নির্দেশ অমান্য করে তাদের ভিজিটিং কার্ড, সাইনবোর্ড এমনকি প্রেসক্রিপশন প্যাডেও এসব প্রশিক্ষণের নাম উল্লেখ করায় সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছেন। অনেক ক্ষেত্রে অপচিকিৎসারও শিকার হন।’
সারা দেশে অনুমোদন ও মানহীন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের আবেদনের বিষয়ে আইনজীবী রবিন বলে, ‘মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে দেশের সব অনুমোদন ও মানহীন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন।’ জে আর খান রবিন এ বিষয়ে আইনের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘দ্য মেডিকেল প্রাকটিশনার অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস (রেগুলেশন) অধ্যাদেশ, ১৯৮২-এর ৮ ধারা অনুযায়ী লাইসেন্স ছাড়া কোনো প্রাইভেট ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। ৯ ধারা অনুযায়ী, শর্তাবলী পূরণ না হলে কর্তৃপক্ষ কোনো প্রাইভেট ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার অনুমতি প্রদান করবেন না।
এ বিধান থাকা সত্ত্বেও বর্তমানে ব্যাঙের ছাতা মতো বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে। যার অধিকাংশই অনুমোদনহীন ও মানহীন।’
কারাগারে ডাক্তার সঙ্কটের বিষয়ে লক্ষ্মীপুরের সন্তান জে আর খান রবিন সময়ের আলোকে বলেন, ‘এ বিষয়ে হাইকোর্টে একটি রিট চলমান আছে। সর্বশেষ এ রিটে কারাগারে পর্যাপ্ত ডাক্তার নিয়োগের জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই নীতিমালা না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সময়ে শূন্যপদে ডাক্তার নিয়োগের জন্য ব্যবস্থা নিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আইনজীবীদের দায় মুক্তির জন্য করা রিটের আইনজীবীও জে আর খান রবিন। ওই রিটের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দালাল ও তদবিরকারীর জাল-জালিয়াতির কারণে অনেক সময়ই না জেনে ফেঁসে যান আইনজীবী। তাই বিনা অপরাধে যাতে কোনো আইনজীবীর মানহানি না ঘটে বা হয়রানির শিকার না হতে হয় সে জন্য একটি রিট করা হয়েছে।
ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল অ্যান্ড লিগ্যাল প্র্যাকটিশনার অর্ডারস অ্যান্ড রুলস ১৯৭২ অনুযায়ী আইনজীবীদের সুরক্ষার বিধান সংযোজন লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যর্থতাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।’




সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close