ই-পেপার শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪

পানি পানের আদব
প্রকাশ: সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম  (ভিজিট : ৩৯০)
পানি আল্লাহর অসীম নেয়ামত। সৃষ্টির সূচনাকাল থেকে পানির অস্তিত্ব রয়েছে। পবিত্র কোরআনে অসংখ্যা জায়গায় পানির কথা আলোচিত হয়েছে। নবীজি (সা.) পানি পান করার নিয়মও শিখিয়েছেন। পানি এবং সব ধরনের হালাল পানীয় সবসময় বসে পান করা ইসলামের বিধান। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) লোকদের দাঁড়িয়ে পান করতে নিষেধ করেছেন। সাহাবারা জিজ্ঞাসা করলেন, তাহলে খাবারের ক্ষেত্রে? তিনি জবাবে বললেন, দাঁড়িয়ে খাবার খাওয়া তো আরও জঘন্য ও খারাপ! (মুসলিম : ২০২৪)। শুধুমাত্র জমজমের পানি দাঁড়িয়ে পান করার অবকাশ রয়েছে। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে জমজমের পানি পান করিয়েছি, তিনি দাঁড়িয়ে পান করেছেন।’ (বুখারি : ১৫২৯; মুসলিম : ৩৭৭৬)।
তবে গবেষক মুহাদ্দিস ও আলেমগণ বলেছেন, জমজম ক‚পের আশপাশে হজে সমাগত মানুষের প্রচÐ ভিড় ও কাদামাটি ছিল, বসে পান করার মতো অবস্থা ছিল না। তাই নবীজি অপারগ হয়ে দাঁড়িয়ে পান করেছেন। এ থেকে আলেমগণ বলেছেন, অপারগ হলে জমজম ও সাধারণ সব পানিই দাঁড়িয়ে পান করা যাবে। অন্যথায় বসে পান করতে হবে।
পানি ডান হাতে পান করা। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘শয়তান বাম হাত দিয়ে পানি পান করে।’ (মুসলিম: ২/১৭২)। এবং তিন নিশ^াসে পান করা। নিশ^াস ফেলার সময় গøাস থেকে মুখ আলাদা করা। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত; রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা উটের মতো এক চুমুকে পানি পান করো না। বরং দুই তিন চুমুকে পানি পান করো। এবং যখন পান করতে যাবে তখন বিসমিল্লাহ বলে পান করবে আর পান করার পর আলহামদুলিল্লাহ বলো।’ (মুসলিম : ২/১৭৪; তিরমিজি : ১৮৯২)।
তিন শ^াসে পানি পান করার দৈহিক উপকারিতাও নবীজি (সা.) জানিয়েছেন। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘নবীজি (সা.) পানি পান করার সময় তিনবার করে শ^াস নিতেন এবং বলতেনÑ এভাবে পান করার মধ্যে অধিক সতেজতা ও শরীরের জন্য বেশি উপকারিতা রয়েছে।’ (মুসলিম : ২০২৮)
পানি পান করার সময় প্রত্যেকবার গøাসের বাইরে নিশ^াস ফেলা। গøাসের ভেতরে নিশ^াস ফেলা ঠিক নয়। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবীজি (সা.) পানি পান করার সময় পানপাত্রে নিশ^াস ফেলতে এবং ফুঁক দিতে নিষেধ করেছেন।’ (আবু দাউদ : ৩৭২৮)
পানির পাত্র অনেক বড় হলে পাত্রে মুখ না লাগিয়ে পান করা। কারণ এ থেকে আরও অনেক মানুষ মানুষ পান করবে। তাদের অসুবিধা হতে পারে। এ ছাড়াও ভেতরে ক্ষতিকর প্রাণীর সম্ভাবনাও থাকতে পারে। কিংবা একসঙ্গে অনেক পানি গলায় প্রবেশ করলে গলাধঃকরণে অসুবিধা, মাথায়-নাকে পানি চলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) মশকের মুখে (মুখ লাগিয়ে) পান করতে নিষেধ করেছেন। (বুখারি : ২/৮৪১; মুসলিম: ২/১৭৩)। পানি পান করার পর অন্যজনকে দিতে হলে প্রথমে ডান পাশের জনকে দেওয়া। সে-ও তার ডান পাশের জনকে দিবে। এভাবেই চলবে (বুখারি : ২/৮৪০; মুসলিম : ২/১৭৪)




সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close