ই-পেপার শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪

গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল সংসদে উত্থাপন
কোম্পানি (সংশোধন) বিল পাস
প্রকাশ: বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১১:২৪ পিএম  (ভিজিট : ২৬৩)
গাজীপুরের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং আবাসনের জন্য পরিকল্পনা নিতে ‘গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল-২০২০’ সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ মঙ্গলবার বিলটি সংসদে উত্থাপনের পর এটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। চট্টগ্রাম, খুলনা ও রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মতো করেই গাজীপুরের জন্য এ আইন করা হচ্ছে। খসড়ায় বড় কোনো পরিবর্তন নেই।
বিলে বলা হয়েছে, ২০ জনকে নিয়ে এই কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে। একজন চেয়ারম্যান, চারজন সার্বক্ষণিক সদস্য, গাজীপুর জেলা প্রশাসক, বুয়েটের নগর অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান, গণপূর্ত, ভূমি, পরিবেশ ও বিমান মন্ত্রণালয়ের একজন করে উপসচিব সদস্য থাকবেন।
এ ছাড়া গণপূর্ত অধিদফতরের একজন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, পুলিশ কমিশনারের একজন প্রতিনিধি, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা, গাজীপুরের গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, সরকার মনোনীত ওই এলাকার একজন নারীসহ তিনজন বিশিষ্ট নাগরিক এবং গাজীপুর শিল্প ও বণিক সমিতির একজন প্রতিনিধি এবং উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব থাকবেন এই কর্তৃপক্ষে। মনোনীতরা তিন বছর মেয়াদে এই কর্তৃপক্ষের সদস্য হবেন। চেয়ারম্যান ও সার্বক্ষণিক চারজন সদস্যকে সরকার তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেবে। প্রস্তাবিত আইনে বলা আছে, পরিকল্পনার বাইরে কেউ জমি ব্যবহার করলে ১০ লাখ টাকা জরিমানা হবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেন, বিলটি আইন হিসেবে প্রণয়ন হলে কর্তৃপক্ষের আওতাভুক্ত এলাকায় একটি আধুনিক নগরী প্রতিষ্ঠার স্বার্থে ওই অঞ্চলের সুপরিকল্পিত উন্নয়ন নিশ্চিত করা যাবে।
কোম্পানি (সংশোধন) বিল পাস : অন্যদিকে ব্যবসা-বাণিজ্য সহজীকরণে ‘কোম্পানি (সংশোধন) বিল-২০২০’ নামে একটি বিল জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করা হলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলটির ওপর বিরোধীদল জাতীয় পার্টি ও বিএনপি সদস্যদের আনা জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব নাকচ হয়ে যায়।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি। এই বিলের বিরোধিতা করে জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব করেন বিরোধীদল জাতীয় পার্টির সদস্য মো. ফখরুল ইমাম, কাজী ফিরোজ রশীদ, মুজিবুল হক, শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও পীর ফজলুর রহমান ও বিএনপির ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। কিন্তু তাদের প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বিলপি পাসের অনুরোধ জানান মন্ত্রী। পরে বিরোধীদলের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
পাস হওয়া বিলে কোম্পানি রেজিস্ট্রেশনের সময় লোগো রেজিস্ট্রেশনের বিধান তুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে এখন শুধু কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন করলেই চলবে। ফলে সংশোধিত বিলটি পাস হলে কোম্পানির কমন সিল, সাধারণ সিল ও অফিসিয়াল সিল নিবন্ধনের বিধান বিলোপ হবে।
এর আগে ২৩ জানুয়ারি আইনমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় কোম্পানি সিল-সংক্রান্ত ধারার সংশোধন প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী ১২ ফেব্রুয়ারি সংসদে বিলটি উত্থাপন করা হয়। পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বিলটি পাসের সুপারিশ করে কমিটি পরের দিন সংসদে প্রতিবেদন জমা দেয়।






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close