৯০দশকের বাংলা চলচ্চিত্রের একচ্ছত্র অধিপতি স্বপ্নের নায়ক সালমান শাহ্র ব্যক্তিগত জীবনযাপনও ছিলো অনেকটা সিনেমাটিক স্টাইলেরই। সিনেমার গল্পের মত তাঁর জীবনে প্রবেশ করেছিলো ট্রাই-এঙ্গেল লাভস্টোরি। তিনি তাঁর আগে থেকে বিয়ে করা বৌ সামিরার পাশাপাশি, স্ত্রীর মত করেই ভালবাসতে শুরু করেছিলেন সে সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী এবং সালমানের বেশকটি হিট সিনেমার নায়িকা শাবনুরকে। আর এসবকিছুই সালমানের আত্মহত্যার কারন বলছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
শাবনূরের প্রতি অনেকটা আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন সালমান, তাই শাবনূরকেও বিয়ে করে সংসার করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সামিরা তাতে রাজি হননি। শুরু হয় পারিবারিক নানা কলহ। এসব তথ্য উঠে এসেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআইর) তদন্ত প্রতিবেদনে।
সোমবার প্রেস ব্রিফিংয়ে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার জানান, এসব তথ্যগুলো আসলে সালমানের বাসার গৃহকর্মী মনোয়ারা বেগমের জবানবন্দি থেকে নেয়া।
মনোয়ারা বেগম তার জবানবন্দীতে বলেন, সতীনের সংসার করতে রাজি ছিলেন না সালমানের স্ত্রী সামিরা।
চিত্রনায়ক সালমান শাহর রহস্যজনক মৃত্যুর পর দায়ের করা মামলায় বহুবার তদন্ত করে প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগ, তবে এখন পর্যন্ত কোনো তদন্তকারী সংস্থার প্রতিবেদনই গ্রহণ করেনি সালমান শাহর পরিবার। থানা পুলিশসহ অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মামলাটি তদন্ত করেলেও গ্রহন করেনি তাঁর পরিবার। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট তদন্ত সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পায় পিবিআই।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান চিত্রনায়ক ইমন চৌধুরী ওরফে সালমান শাহ্। সে সময় এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছিলেন তার বাবা প্রয়াত কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করার আবেদন জানিয়ে ছিলেন তিনি।