ভারত সফরে এসে মোগল সম্রাট শাহজাহানের তৈরি প্রেমের সৌধ তাজমহলের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দু’দিনের সফরের এসে প্রথম দিনেই তাজমহলে যান ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া।
পড়ন্ত বিকেলে ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া হাতে হাত রেখে তাজমহলের চতুর্দিকে হাঁটলেন ট্রাম্প দম্পতি। সেই সঙ্গে ফ্রেমবন্দি করলেন সেসব স্মৃতিও। কিন্তু শেষ ইচ্ছেটা পূরণ হল না ট্রাম্পের। সম্রাট শাহজাহানের প্রিয়তমা বেগম মমতাজের সমাধির কাছে পৌঁছতে পারলেন না তিনি। উচ্চতা বাধা হয়ে দাঁড়াল তখন। আসল সমাধিতে যাওয়ার যে রাস্তা, তার উচ্চতা অনেক কম এবং সরু। ট্রাম্পের উচ্চতা ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি হওয়ায় মাথায় আঘাত লাগার সম্ভাবনা ছিল। ভারতের এনডিটিভি এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সোমবার পরিবারের অন্য সদদ্যদের নিয়ে ভারতের মাটিতে পা রাখেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপর, সবরমতী আশ্রম, মোতেরা স্টেডিয়াম ঘুরে আগ্রার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন তিনি।
তাঁকে স্বাগত জানাতে আগে থেকেই তৈরি ছিল গোটা আগ্রা।সেখানে ডমেস্টিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল। ট্রাম্পকে বিমানবন্দরে গ্রহনের জন্যে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়। স্ত্রী, মেয়ে এবং জামাইকে সঙ্গে নিয়ে বিমানবন্দর থেকে ‘দ্য বিস্ট’-এ চড়ে তাজমহলে পৌঁছান ট্রাম্প।
আগ্রার রাস্তার দু’পাশে ভারত ও আমেরিকার পতাকা নাড়িয়ে তাকে স্বাগত জানায় দাঁড়িয়ে থাকা শত শত শিক্ষার্থী। এরপর প্রেমের সৌধে পা রাখেন ট্রাম্প দম্পতি। ভিজিটরস বুকে ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লেখেন, ‘প্রেরণা দেয় তাজমহল। সবার সম্ভ্রম আদায় করে নেয় প্রেমের স্মৃতিসৌধ। ভারতের বৈচিত্র্যময় ঐতিহ্যের সাক্ষী এই তাজমহল। ভারতকে ধন্যবাদ।’
ট্রাম্পের তাজমহল দর্শনের গাইড নীতিন কুমার সিং জানান, তাজমহলের সৌন্দর্য দেখে অভিভূত হয়ে গিয়েছিলেন ট্রাম্প। যদিও শাহজাহান এবং মমতাজের যে আসল সমাধি, সেখান পর্যন্ত তিনি পৌঁছাতে পারেননি। কারণ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রক্ষীরা জানান, আসল সমাধিতে যাওয়ার যে রাস্তা, তার উচ্চতা অনেক কম এবং সরু। যে কারণে ট্রাম্পের মাথায় আঘাত লাগার সম্ভাবনা ছিল। ট্রাম্পের উচ্চতা ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি।