ই-পেপার শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪

নিজেই তৈরি করুন বনসাই
প্রকাশ: রবিবার, ১ মার্চ, ২০২০, ৮:৪৭ পিএম আপডেট: ০১.০৩.২০২০ ৮:৫১ পিএম  (ভিজিট : ১১৪১)
বনসাই শখের ও আয়ের উপায় হতে পারে। আসুন আমরা বনসাইয়ের পদ্ধতি জেনে নিই ।

চারা তৈরি :
সাধারণত বনসাইয়ের চারা নার্সারি থেকে সংগ্রহ করতে হয়। বীজসংগ্রহ করেও চারা তৈরি করে নিতে পরেন। যেসব প্রজাতির বীজ পাওয়া যায় না তাদের বেলায় অঙ্গজ পদ্ধতি অবলম্বন করে চারা তৈরি করতে হয়। বীজ সংগ্রহ করেও চারা তৈরি করে নিতে পারেন। অর্থাৎ কাটিং, ঝড় বিভাজন, তেউড় বিভাজন, দাবাকলম, গুটিকলম, চোখ কলম প্রভৃতি পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে চারা তৈরি করে নিতে হয়।

টব বাছাই ক্যাসকেটড বা উচু বনসাই ছাড় সবরকম বসনসাইেয়র জন্য চাই চায়ের ফেটের মরেত কিংবা চোট বাটির মতো টব। টবের আকার হওয়া উচিত গাছের শাখা প্রশাখাসহ তার বিস্তারের চেয়ে কিছুটা ছোট।

আকৃতি দৃষ্টিনন্দন হওয়া চাই। টবের আকৃতি সবসময় কৃত্তকার হবে। এমন ধারণা ঠিক নয়। আয়তাকার, বর্গাকার বা ত্রিভজাকারও হতে পারে।

টবের সারমাটি প্রয়োগ :

বনসাই টবের জন্য সারমাটি তৈরি করা খুব সহজ। প্রধানত দোআঁশ মাটির সঙ্গে জৈবসারে মিশিয়ে বনসাইয়ের মাটি তৈরি করা হয় নিম্নোক্তভাবে- দোঁআশ মাটি- পরিমাণ মতো, কম্পোস্ট- ১/২ কেজি হাড়গুড়ো ৫০ গ্রাম, খড়িমাটি গুড়ো ৫০ গ্রাম ইট গুড়ো ১৩০ গ্রাম, কাঠের ছাই- ৭৫গ্রাম ।

চারা লাগানো : কাটিং গুটি কলম বা বীজের চারা বনসাইয়ে সারমাটি ভরে যথারীতি লাগাতে হবে। টবে জল নিষ্কাশনের ছিদ্রের ওপর ইটের কুচির পবির্তে এক টুকরো তারের জালি রেখে তা কিছু কাঁকর দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। তারপর যথারীতি সারমাটি ভরে চারা লাগাতে হবে।

বনসাই তৈরির ধাপ :
বনসাই তৈরির জন্য কান্ড শেকড়, শাখা প্রশাখা ও পাতার বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করাই যথেষ্ট নয়। টবের ছোট গেছে প্রকৃতির কোলে বেড়ে ওঠা বয়োবৃদ্ধ গাছের সুঠাম ভঙ্গিমায় আনার চেষ্ট করতে হবে।

ধাপসমূহ :
কৃড়িভাঙ্ : চারাকে অতিমাত্রায় বোটে করে রাখতে ও ঝোপালো করতে কুড়ি বা পত্রমুকুল ভেঙে দিতে হয়। ক্ষুদে বনসাইয়ের বেলায় তা করতে হয় বা নিরস্তর। কারণ, সবসময় বাড়ন্ত ডগা মাত্র দুটি পাতা রেখে কুটে দিতে হবে। কুড়িভাঙ্গার প্রধান উদ্দেশ্য হলো, নিচের পাতার কাক্ষিক মুকুলকে বাড়তে বাধ্য করা। কারণ ওগুলো বাড়লে গাছের শাখার সংখ্যা বেড়ে গাছ ঝোপলো হবে।

শাখা বাছাই :
বনসাইকে যে মডেলের রূপ দেওয়া হবে তা স্থির করে শাখা বাছাই করা দরকার। জোড়া পাতার কক্ষ তেকে কান্ডের দু’পাশে দুটি শাখা গজায়। বাছাই পদ্ধতি অনুসারে এর একটিকে রাখতে হবে। নিচেরটি ডানদিকে রাখলে তার ওপরেরটি বাম দিকে রাখতে হবে। আসলে বনসাউয়ের কান্ডের রূপ যাতে সামনের দিকে কোনও শাখা থাকবে না। থাকবে কেবল ডান ও বাম দিকে এবং পেছনে কান্ডের মাথার দিকেও সর্বদিকেই শাখা থাকতে হবে।

শাখা ছাটাই :
প্রায়শই বনসাইয়ের বয়স ৩-৪ বছর হলে তখন প্রনিংয়ের প্রয়োজন হয়। বাছাই করা মোটা শাখাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটতে হয়। এর জন্য যে অস্ত্রটি ব্যবহার করা উচিত তার নাম কনকেভ কাটিং প্লায়ারস। এর কাটার ধরন পৃথক। কাটার স্থানের চারদিকে থেকে ছাল বেড়ে তাড়াতাড়ি তা ঢেকে দেয়।

তার বাঁধা :
কান্ড বা শাখাকে সুন্দরন সুঠাম ভঙ্গিমায় আনতে যেসব কৃত্রিম উপায় অবলম্বন করা হয় তার বাঁধা এগুলোর মধ্যে অন্যতম। সরল শাখায় তার জড়িয়ে আঁকা বাকা রূপ দেয়া যায়। কান্ডের জন্য মোটা তার ও শাখার জন্য সরু তার প্রয়োজন। সাধারণত এজন্য তামার তার ব্যবহার করা হয়। অনেকে গ্যালভানাজিংয়ের তারও ব্যবহার করেন।

মনে রাখা দরকার, তার জড়ানোর ফলে গাছ বেশ দুর্বল হয়ে পড়ে; তার খোলার পর গাছকে ছায়ায় বা হালকা ছায়ায় অন্তত সপ্তাহ খানেক রাখা দরকার। প্রয়োজন রোধে দুতিনবার তার জড়ানো যেতে পারে, কিন্তু তা অন্তত ছয় মাস অন্তর হওয়া দরকার।

বনসাই তৈরির জন্য উপযুক্ত প্রজাতির গাছ। বট, পাকু, হিজল, অশ্বথ, ডুমুর, ডারিম, কদম, বাগানবিরাস, বোতল ব্রাশ, নীম, জামরুল, তেতুল ইত্যাদি।




সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close