আমতলী থানায় আসামির গলায় ফাঁস
পরিবারের দাবি পিটিয়ে হত্যা পুলিশ বলছে আত্মহত্যা
বরগুনা প্রতিনিধি
|
![]() আমতলী থানার ওসি আবুল বাশার জানিয়েছেন, গত বছরের ৩ নভেম্বর আমতলীর গুলিশাখালী ইউনিয়নের কলাগাছিয়া গ্রামের ধানক্ষেত থেকে ইব্রাহিম নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই মামলায় এজাহারভুক্ত কোনো আসামি না থাকলেও সোমবার রাতে সন্দেহভাজন হিসেবে শানু হাওলাদারকে আটক করে পুলিশ। রাতে ওসি (তদন্ত) মনোরঞ্জন মিস্ত্রীর কক্ষে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাখা হয়। আবুল বাশার দাবি করেছেন, রাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কিছু ক্লু পাওয়া যায়। থানার সেন্ট্রি ২৬ মার্চ সকালে শানুকে বাথরুমে নিয়ে যায়। তাদের দাবি, বাথরুম থেকে ফিরে এসে শানু দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিহত শানু হাওলাদার আমতলীর কলাগাছিয়া গ্রামের হযরত আলী হাওলাদারের ছেলে। আমতলীর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শংকর প্রসাদ অধিকারী জানিয়েছেন, শানুর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শানুর ছেলে সাকিব হাওলাদার জানিয়েছেন, পুলিশ তাদের কাছে তিন লাখ টাকা দাবি করেছিল। তারা ১০ হাজার টাকা পুলিশকে দিয়েছেন। শানুর স্ত্রী ঝর্না বেগম জানিয়েছেন, টাকা দিতে না পারায় পুলিশ তার স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন-পিপিএম জানিয়েছেন, বিষয়টি তদন্ত করার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দায়িত্ব থাকা (এসপি হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) পুলিশ সুপার তোফায়েল আহম্মেদকে প্রধান করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহররম ও সহকারী পুলিশ সুপার রবিউল ইসলামকে সদস্য করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে জানানো হয়েছে। |