প্রকাশ: সোমবার, ৩০ মার্চ, ২০২০, ১১:১৮ পিএম আপডেট: ৩০.০৩.২০২০ ১:২৪ এএম (ভিজিট : ৬৪)
অসুস্থ দুই ব্যক্তির মৃত্যুর পর পটুয়াখালীর তিন বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। শহর, শহরতলি ও গলাচিপা থানার বকুলবাড়িয়ার এই তিনটি বাড়ি রোববার দুপুরে লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লতিফা জান্নাতি জেলা পুলিশের সহযোগিতায় বাড়ি তিনটিতে লাল পতাকা টানিয়ে দিয়েছেন। এ সময় পরিবারের সদস্যদের জন্য খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করা হয়। করোনাভাইরাসের কারণে ওই দুই ব্যক্তি মারা যেতে পারেÑ এমন সন্দেহে একজনের দুই বাড়িসহ তিনটি বাড়ি লকডাউন করা হয়। সিভিল সার্জন ডা. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, শনিবার বিকালে শহরের মাদবরবাড়ী এলাকায় আ. রশিদ নামে ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধ জন্ডিসসহ নানা সমস্যায় ভুগে মারা যান। পরে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তার মৃত্যু করোনাভাইরাসে কি না তা নিশ্চিত করার জন্য রাতে তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়। যে কারণে তার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত আপৎকালীন সময় পর্যন্ত ওই বাড়িটি জেলা প্রশাসনের নির্দেশক্রমে লকডাউন করা হয়। মো. আব্দুর রশিদ ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন রিকশাচালক ছিলেন। অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসা নিতে গত ২০ দিন আগে তিনি মেয়ের বাড়িতে আসেন।
অন্যদিকে শনিবার বিকালে পটুয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল থেকে সদর উপজেলার টাউন বহালগাছিয়া এলাকার মো. জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তি শ^াসকষ্ট, জ্বর ও সর্দি-কাশি নিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলের আইসোলেশনে ভর্তির পর রাতে তিনি মারা যান। করোনাভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ থাকায় তার দুটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পটুয়াখালীতে নতুন করে কোনো প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়নি। কোয়ারেন্টাইন শেষ হয়েছে ৪৬ জনের। বর্তমানে জেলায় মোট ৩১৬ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।