ই-পেপার শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪

অপার সম্ভাবনা অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জন্য
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৩১ মার্চ, ২০২০, ১২:০০ এএম  (ভিজিট : ৭১)
পুরো বিশ^ যে অকোষী এক প্রাণীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেও কিছু করতে পারছে না, প্রতিদিন মৃত্যুর মিছিল দেখে তা ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। সৃষ্টিকর্তার
কৃপায় এবং মানুষের চেষ্টায় হয়তো আমরা উতরে উঠব এ সমস্যা একদিন। কিন্তু অর্থনৈতিক অবস্থা? নিম্ন আয়ের মানুষ অনেক কষ্টে যে কয়টা টাকা সঞ্চয় করেছিল, এই দুঃসময়ে তা শেষ হয়ে যাবে। এমনও হতে পারে কেউ কেউ স্ত্রীর গহনা অল্প দামে বেঁচে হয়তো প্রস্তুতি নিচ্ছে এই সময় অতিবাহিত করার জন্য। সব পণ্যের দাম বাড়ছে! সরকার চেষ্টা করছে বাজার নিয়ন্ত্রণের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কী হবে আমরা এখনও কেউ জানি না। অনেকেই বাইরে বের হওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। শঙ্কায় কেউ কেউ পুরো বাজার পারলে কিনে ফেলছে। কিন্তু জীবনের নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে না।
নিরাপত্তাহীনতার কথা ভেবে যারা বাজারের সব একা কিনতে চাইছে তারা একটা ব্যাপার কখনই চিন্তা করছে না সমাজ ভেঙে পড়লে একা কোনো ব্যক্তির অর্থনীতি ও নিরাপত্তা ঠিক থাকে না! সবকিছু মিলে পৃথিবী পড়েছে এক কঠিন সময়ে। করোনার প্রভাবে ইতোমধ্যে আমাদের তৈরি পোশাক রফতানির অনেক অর্ডার বাতিল হয়ে গেছে। হয়তো আরও বাতিল হবে।  এতে করে হুমকির মুখে পড়বে ফ্যাক্টরিগুলো। হুমকির মুখে পড়বে আমাদের শ্রমিকরা। যদিও আপদকালীন সময়ে সঙ্কট কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রধানমন্ত্রী তৈরি পোশাক খাতে বড় অঙ্কের তহবিল জোগান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। এই বিপর্যয় কাটাতে আমাদের এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। আমাদের স্বপ্নের জায়গাটি যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। অন্যরা যখন সঙ্কটের কথা ভাবছে, তখনও আমাদের প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রায় চেয়েও বেশি অর্জন করা সম্ভব যদি আমরা এখন থেকেই আমাদের পরিকল্পনাগুলো সঠিকভাবে নিতে পারি।
আজকের এই যুদ্ধ শেষ হবে একদিন। তখন আবার বাজার তৈরি হবে। সেই বাজারটি ধরার জন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। আমাদের সক্ষমতা ধরে রাখতে হবে। যাতে করে ঠিক যখনই বিশ^ এই বিপর্যয় থেকে বেরিয়ে আসবে তখন বিশ^বাজারে তৈরি পোশাকের যে চাহিদা তৈরি হবে তা যেন আমরা পূরণ করতে পারি।  বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার পরেই মানুষ আবার বিনোদনের জায়গা খুঁজবে। যে মানুষগুলো এতদিন ঘরে আটকে ছিল তারা বের হবে, বেড়াতে যাবে, কলরবে ভরে উঠবে বিনোদনকেন্দ্র, পর্যটনের জায়গা, বার, হোটেল, রিসোর্টগুলো। তখনই নতুন পোশাকের প্রয়োজন পড়বে। যে অর্ডারগুলো বাতিল হয়ে গিয়েছিল করোনার প্রভাবে সেগুলোতো আবার আসবেই সঙ্গে নতুন পোশাকেরও ব্যাপক চাহিদা তৈরি হবে। তখন যদি আমাদের পক্ষে সবগুলো বাজার ধরা সম্ভব হয় তাহলেই আমাদের সম্ভাবনার জায়গাটি খুলে যাবে।
এক্ষেত্রে ভালো ভূমিকা রাখতে পারে বিজিএমইএ। যখন করোনার প্রভাব কমতে শুরু করবে তখনই যাতে বাজার ধরা যায় এ কারণে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং আমাদের সক্ষমতার কথা তুলে ধরতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে বিশেষ সময়ের জন্য শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারও চাওয়া যেতে পারে। বিপদের সময়েই সম্ভাবনার পথকে প্রসারিত করার সুযোগ তৈরি করে রাখতে হয়, যাতে বিপদ কেটে গেলে ঘুরে দাঁড়ানো সহজ হয়। তাই বিশ^াস করি, সামনে আমাদের জন্য সুদিন আসছে। এ জন্য শুধু চাই পরিকল্পনা ও বাস্তবসম্মত চিন্তা। সচেতনতা ও ধৈর্যের মাধ্যমেই আমরা জয় করব আমাদের প্রতিকূলতা এবং এগিয়ে যাব সম্ভাবনার পথে, প্রত্যাশা এটাই।

সাঈদ চৌধুরী
সদস্য, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি
শ্রীপুর, গাজীপুর







সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close