ই-পেপার শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মুজেজা
প্রকাশ: বুধবার, ৩ জুন, ২০২০, ১১:৪০ পিএম  (ভিজিট : ১৪৩)
হজরত জাবের (রা.) বলেন খন্দকের যুদ্ধের সময় আমরা দুশমনের প্রবেশ ঠেকাতে মদিনার চারপাশে খাল খনন করছিলাম। মাটি খুঁড়তে খুঁড়তে এমন সময় শক্ত একটা পাথর দেখা দিল। তখন লোকরা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে বলল, খাল খননকালে একটি শক্ত পাথর পাওয়া গেছে; যা সহজে কাটা যাচ্ছে না। তিনি বললেন, ‘আচ্ছা আমি নিজেই খাল ও খন্দকের ভেতর নামব’। অতঃপর তিনি দাঁড়ালেন, সে সময় তার পেটে পাথর বাঁধা ছিল। আর আমরাও তখন তিন দিন পর্যন্ত কিছু খেতে পাইনি। (রাসুল সা.) কোদাল হাতে নিয়ে পাথরটির ওপর আঘাত করলে তা চ‚র্ণ-বিচ‚র্ণ হয়ে বালুকণায় পরিণত হয়।
রোদে-গরমে ও ক্ষিধায় সবার অবস্থা বেশ করুণ হয়ে এসেছে। এ অবস্থা দেখে ঘরে আমার স্ত্রীর কাছে এসে বললাম, ‘তোমার কাছে খাওয়ার কিছু আছে কী? আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে ভীষণ ক্ষুধার্ত অবস্থায় দেখলাম।’ তখন সে একটি চামড়ার পাত্র হতে এক সা পরিমাণ যব বের করল। আমাদের একটি মোটাতাজা বকরির বাচ্চা ছিল। আমি সেটা জবাই করলাম আর আমার স্ত্রী যব পিষল। অবশেষে আমরা হাঁড়িতে গোস্ত চড়ালাম। অতঃপর আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নিকট এসে চুপে চুপে বললাম, ‘আল্লাহর রাসুল! আমরা একটি বকরির বাচ্চা জবাই করেছি। আর এক সা যব ছিল, আমার স্ত্রী তা পিষেছে। খাবার তৈরি। সুতরাং আপনি কয়েকজন সাহাবিকে সঙ্গে নিয়ে চলুন।’
তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) উঁচা আওয়াজে সবাইকে বললেন, ‘হে পরিখা খননকারীরা! এস তোমরা! তাড়াতাড়ি চল, জাবের তোমাদের জন্য খাবার তৈরি করেছে।’ আমি মনে মনে ঘাবড়ে যাই। কারণ, একটি পরিবারের কয়েকজন সদস্য খেতে পারে এ পরিমাণ খাবার তৈরি হয়েছে। এ অল্প খাবারে পুরো এক হাজারের বেশি লোকের কীভাবে হবে! তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বললেন, ‘তুমি বাড়ি ফিরে যাও। আমি না আসা পর্যন্ত গোস্তের ডেকচি চুলা থেকে নামাবে না আর খামির থেকেও রুটি বানাবে না।’ এরপর তিনি লোকজনসহ উপস্থিত হলেন। আমার স্ত্রী খামিরগুলো রাসুলের সম্মুখে দিলে তিনি তাতে লালা মিশিয়ে দিয়ে বরকতের জন্য দোয়া করলেন। অতঃপর ডেকচির কাছে গিয়ে তাতেও লালা মিশিয়ে বরকতের জন্য দোয়া করলেন। এরপর বললেন, ‘তুমি আরও রুটি প্রস্তুততকারিণীদের ডাক, তারা তোমার সঙ্গে খামির থেকে রুটি বানাতে থাকবে। আর চুলার ওপর থেকে ডেকচি না নামিয়ে সামান্য ফাঁকা করে তরকারি পরিবেশন করতে থাক।
হজরত জাবের (রা.) বলেন, সহাবিদের সংখ্যা ছিল এক হাজার। আমি আল্লাহর কসম করে বলছি, প্রত্যেকেই তৃপ্তি সহকারে খেয়ে চলে যাওয়ার পরও ডেকচি ভর্তি তরকারি ফুটছিল এবং প্রথম অবস্থার মতো আটার খামির থেকে রুটি প্রস্তুত হচ্ছিল।’ (বুখারি ও মুসলিম সূত্রে মেশকাত : ৫৮৭৭, ‘ফাজায়েল ও শামায়েল’ অধ্যায়)




সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close