প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ১০:১৬ পিএম (ভিজিট : ২৩২)
বাংলাদেশের সঙ্গে ডলারের পরিবর্তে রূপিতে বাণিজ্য করার প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। তবে এই বিষয়ে বাংলাদেশ এখনো কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। এর আগে ২২-২৩ ডিসেম্বর ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যমন্ত্রী পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পিযুশ গয়াল প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশ দুই দেশ নিজস্ব মুদ্রায় আমদানি-রপ্তানি বা কারেন্সি সোয়াপ করতে পারে কিনা সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে বিষয়টি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। কারণ কারেন্সি সোয়পের ফলে বাংলাদেশ কী পরিমাণ সুবিধা পাবে তা আগে দেখা হবে।’
সাত নিত্যপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ভারতের কাছে বার্ষিক কোটা সুবিধা চাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট অবস্থায় ভারতের কাছে চাল, গম, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও ডালের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য আমদানিতে বার্ষিক কোটা সুবিধার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় সভায় আমাদের পক্ষ থেকে সাতটি পণ্যের আমদানির জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণের কোটার কথা তুলে ধরা হয়। তবে ভারত বলেছে, যে পরিমাণ পণ্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে বাংলাদেশ সেই পরিমাণ পণ্য ভারত থেকে আমদানি করে না।’
টিপু মুনশি বলেন, ‘আগামী দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে বিষয়টি দুই দেশ আলোচনা করে চূড়ান্ত করবে।’
ব্যবসায়ীদের জন্য দীর্ঘ মেয়াদি ভিসা দিতে ভারতের আপত্তি নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তারা (ভারত) বলেছে এক থেকে দেড় মাস একটু অপেক্ষা করতে হবে। করোনার পর মেডিকেল ভিসার জন্য প্রচুর চাপ পড়েছে। সেটা দিতেই তাদের সমস্যা হচ্ছে। তারা বলছে জানুয়ারির শেষ দিকে তাদের (ভিসার) চাপ কমে আসবে। তখন রেগুলার ভিসা, ট্যুরিস্ট ভিসা, মাল্টিপল ভিসা, ব্যবসায়ীদের ভিসার ব্যবস্থা করবে তারা।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি পণ্য পাটজাত সামগ্রীর উপর ২০১৭ সাল হতে আরোপিত অ্যান্টি-ডাম্পিং ডিউটি আর বহাল না রাখার জন্য ভারতকে অনুরোধ করা হয়েছে। সভায় প্রস্তাবিত বাংলাদেশ-ভারত কম্প্রেহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্টের (সেপা) লক্ষ্যে আলোচনা হয়।’
বাংলাদেশের পক্ষ হতে উপস্থাপিত বিষয়গুলো ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী ইতিবাচকভাবে বিবেচনার আশ্বাস প্রদান করেন বলে জানান টিপু মুনশি।