মধ্যপ্রাচ্যের মরুপ্রান্তরে সাম্প্রতিক সময়ে সমরশক্তি প্রদর্শন করা ইসরায়েলের তেলআবিব, জেরুজালেমসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহরে দুই দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে দেশটির প্রধান আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামি প্রজাতান্ত্রিক ইরান।
কয়েকশ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইসরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চল কেঁপে উঠেছে বলে খবর এলেও হতাহতের কোনো তথ্য দেয়নি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো, যাদের সর্বশেষ খবরে বলা হচ্ছে, রাতের মত আঘাত করা স্থগিত করেছে তেহরান। ইরানকে এই হামলার ‘ফল ভোগ করতে হবে’ বলে ইসরায়েল জবাব দেওয়ার যে হুমকি দিয়েছে, তাতে মধ্যপ্রাচ্যে বড় যুদ্ধের শঙ্কা আরও গভীর হচ্ছে। এরই মধ্যে কূটনৈতিক পর্যায়ে বিশ্বজুড়ে এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার রাত ৮টার পর ইরানের বিপ্লবী রক্ষাবাহিনী-আইআরজিসি দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির নির্দেশে এই হামলা চালায় বলে ইরানি সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে।
রেডিও তেহরান বলছে, চার শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে আইআরজিসি, যার মধ্যে অত্যাধুনিক শ্রেণির অস্ত্রও রয়েছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দ্য হার্টৎজ লিখেছে, হামলার সতর্কতা হিসেবে সাইরেন বেজে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই ইসরায়েলিরা ক্ষেপণাস্ত্রনিরোধী বাঙ্কারে আশ্রয় নেয়, অন্যরা রাস্তায়, দোকানে যে যেখানে ছিল সেখানেই মাটিতে বা মেঝেতে শুয়ে পড়ে। টেলিভিশন স্টেশনে ইসরায়েলি সাংবাদিকদের মেঝেতে শুয়ে পড়তে দেখা যায়, যার ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেছে হার্টৎজ।
জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী মিশন বলেছে, এই হামলা বৈধ, যৌক্তিক এবং এর আইনগত ভিত্তি রয়েছে। ইসরাইলের সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রমের জবাবে এই হামলা চালানো হয়েছে। ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর খবর পেয়ে রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন শহরের রাস্তায় নেমে আসে সাধারণ মানুষ এবং তারা উল্লাস প্রকাশ করে, লিখেছে রেডিও তেহরান।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস এরই মধ্যে বৈঠক করেছেন। বাইডেন ইসরাইল অভিমুখী ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করার জন্য মার্কিন সেনাদের নির্দেশ দেন।
সময়ের আলো/এএ/