ই-পেপার শুক্রবার ৪ অক্টোবর ২০২৪
শুক্রবার ৪ অক্টোবর ২০২৪

মাহমুদুর রহমানের কারাগারে যাওয়ার কারণ বললেন আসিফ নজরুল
প্রকাশ: বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০২৪, ৭:০৮ পিএম আপডেট: ০২.১০.২০২৪ ৭:২৯ পিএম  (ভিজিট : ১৮১)
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ এবং হত্যাচেষ্টার মামলায় দণ্ডিত সাংবাদিক শফিক রেহমানের সাজা স্থগিত হলেও মাহমুদুর রহমানকে কেন কারাগারে যেতে হল, সেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। 

তিনি বলেছেন, যায়যায়দিনের সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমান সাজা স্থগিতের আবেদন করলেও মাহমুদুর রহমান তা করেননি। সে কারণে দুজনের ক্ষেত্রে আলাদা ফল এসেছে।

বুধবার (২ অক্টোবর) ফেসবুকে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় এ ব্যাখ্যা দেন আসিফ নজরুল।

এ মামলায় ২০২৩ সালের ১৭ অগাস্ট যায়যায়দিন সম্পাদক শফিক রেহমান, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

সাজাপ্রাপ্ত অন্য তিনজন হলেন জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া। ২০১৫ সালের ৩ অগাস্ট পল্টন থানায় পুলিশের করা এ মামলায় ২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিল গ্রেপ্তার হয়েছিলেন শফিক রেহমান। পাঁচ মাস কারাগারেও থাকতে হয়েছিল তাকে। পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে ২০১৮ সালে যুক্তরাজ্যে চলে যান তিনি।

ছয় বছর পর গত ১৮ আগস্ট যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরেন বর্ষীয়ান এই সাংবাদিক। এরপর গত ২২ সেপ্টেম্বর আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামতের আলোকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আপিলের শর্তে এ মামলায় তার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিতের কথা জানানো হয়।

অন্যদিকে মাহমুদুর রহমানও আওয়ামী লীগ আমলে গ্রেপ্তার হয়ে বিভিন্ন মামলায় সাড়ে তিন বছর কারাগারে ছিলেন। ২০১৬ সালের নভেম্বরে মুক্তি পাওয়ার পর তিনিও লন্ডনে চলে যান।

সাড়ে ৫ বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে সাম্প্রতি তিনি দেশে ফেরেন। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে ঢাকার একজন মহানগর হাকিম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এক বছরের বেশি সাজা হলে হাকিম আদালত জামিন দিতে পারে না। সে কারণে ওই আদালতে মাহমুদুর রহমানের জামিন চাওয়ারও সুযোগ ছিল না।

বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করে আইন উপদেষ্টা ভিডিও বার্তায় বলেন, মাহমুদুর রহমান ভাই যে মামলায় শাস্তি পেয়ে আজকে জেলে আছেন, প্রকৃতপক্ষে এ মামলায় আরেকজন বরেণ্য সাংবাদিক শফিক রেহমানেরও সাজা হয়েছিল। উনি এই মামলার সাজা স্থগিত চেয়ে আপিলের আবেদন করেছিলেন। আইন মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে সেটা অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু মাহমুদুর রহমান ভাই এটা করেন নাই।


মাহমুদুর রহমানকে ‘অত্যন্ত দৃঢ় আত্মসম্মানবোধ, প্রচণ্ড দেশপ্রেমিক মানুষ’ হিসেবে বর্ণনা করে আসিফ নজরুল বলেন, হয়ত উনার এ রকম ব্যক্তিত্বের কারণে হয়ত তিনি মনে করেছেন উনি সাজা স্থগিতের আবেদন করবেন না। বা অন্য কারণেই হোক আমি জানি না। যাই হোক উনি সাজা স্থগিত রেখে মুক্ত মানুষ হিসেবে আপিল করার কোনো আবেদন করেননি। ফলে এটা করার কোনো সুযোগ মন্ত্রণালয় বা সরকারের ছিল না।

ভিডিও বার্তায় শুরুতেই আইন উপদেষ্টা বলেন, এ দেশে শেখ হাসিনার যে ফ্যাসিবাদী শাসন ছিল সেটার বিরুদ্ধে বুদ্ধিভিত্তিক লড়াইয়ের সূচনা করেছিলেন মাহমুদুর রহমান ভাই। এ জন্য উনাকে প্রচণ্ড নিপীড়ন-নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে। যেটার সঙ্গে কোনো কিছুর তুলনা হয় না। উনাকে একটি ভুয়া মামলায় ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার শাস্তি দিয়েছিল। উনার অবর্তমানে শাস্তি দিয়েছিল। এই মামলার মেরিট নিয়েও প্রশ্ন তোলা যেতে পারে।

এই মামলায় বিচার কার্য সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল। উনাকে অলরেডি শাস্তি দেওয়া হয়ে গিয়েছিল। উনি বাংলাদেশে আসার কিছুদিন আগে উনার স্ত্রী শ্রদ্ধেয় ভাবির বিরুদ্ধেও একটা অগ্রহণযোগ্য মামলা করা হয়েছিল। তিনি সেই মামলাতে সাজা স্থগিত চেয়ে আপিলের জন্য আবেদন করেছিলেন। এটা আমার কাছে আসে না। এই আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে যায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যখন আমাদের অভিমত চেয়েছে আমরা তখন ইতিবাচক জোর সুপারিশ করেছি। আমাদের এই সুপারিশের ভিত্তিতে মাহমুদুর রহমান ভাইয়ের স্ত্রীর সাজা স্থগিত করে উনাকে আপিল করার সুযোগ দেওয়া হয়।

সময়ের আলো/জেডআই




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close