প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪, ৩:২৭ পিএম (ভিজিট : ৩০২)
ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিতব্য দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে সাকিবের খেলা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। যদিও এই সিরিজটি দিয়ে নিজের টেস্ট ক্রিকেটের ইতি টানতে চেয়ে ছিলেন দেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ক্রিকেটার। টেস্টে একটি সম্ভাবনা থাকলেও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আর কখনোই দেখা যাবে না সাকিবকে। সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল সাকিবের ক্যারিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর কানপুরে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন এই অলরাউন্ডার। তবে ওয়ানডে ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন আগামী বছর পর্যন্ত। ২০২৫ সালে পাকিস্তানে বসতে যাওয়া আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলবেন সাকিব।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সবশেষ কেন্দ্রীয় চুক্তির তিন ফরম্যাটেই চুক্তিবদ্ধ ছিলেন সাকিব। ক্রিকেটারদের সঙ্গে প্রতিবছরই কেন্দ্রীয় চুক্তি নবায়ন করে সংস্থাটি। ফেব্রুয়ারিতে করা চলতি বছরের চুক্তিতে থাকলেও আগামীতে সাকিবকে আর সব ফরম্যাটে দেখা যাবে না।
এদিকে সাকিব টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে অবসর ঘোষণা করায়, দুই সংস্করণে আর কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকছেন না সাকিব। ফলে তার বেতন কমছে অর্ধেকেরও বেশি।
জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের কয়েকটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা প্রকাশ করেছিল বিসিবি। তিন ক্যাটাগরির খেলোয়াড় তালিকায় সাকিব ছাড়াও ছিলেন লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাজমুল হোসেন শান্ত ও শরিফুল ইসলাম।
যেখানে টেস্টে এ+ গ্রেডের বেতন সাড়ে ৪ লাখ টাকা। ওয়ানডেতে ৪ লাখ আর টি-টোয়েন্টিতে সংখ্যাটা সাড়ে ৩ লাখ। কোনো ক্রিকেটারের নাম যদি তিন সংস্করণে থাকে তাহলে ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্রথম সংস্করণের শতভাগ, দ্বিতীয় সংস্করণের ৫০ ভাগ ও তৃতীয় সংস্করণের ৪০ ভাগ টাকা পেয়ে থাকেন।
এই হিসেবে সাকিব প্রতি মাসে বেতন পেতেন ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এ ছাড়া তিন সংস্করণে নির্দিষ্ট সংখ্যক ম্যাচ খেলার কোটা পূরণ করলে ক্রিকেটাররা পান বাড়তি ভাতা। এখন টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে সরে দাঁড়ানোয় বেতনের টাকা কাটা যাবে সাকিবের। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি না খেলায় একমাত্র ওয়ানডে চুক্তির জন্য সাকিব মাসে পাবেন ৪ লাখ টাকা করে।
সময়ের আলো/জিকে