ই-পেপার শনিবার ২ নভেম্বর ২০২৪
শনিবার ২ নভেম্বর ২০২৪

রফতানি উন্নয়ন তহবিলে ১ বিলিয়ন ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক
প্রকাশ: বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৪, ৯:৫৭ পিএম  (ভিজিট : ১১৪)
রফতানিকারকদের সুসংবাদ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ডে (রফতানি উন্নয়ন তহবিল বা ইডিএফ) ১ বিলিয়ন ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক।

চলতি মাসে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সভায় যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন সফর করেন অর্থ, বাণিজ্য এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

সেখান থেকে দেশে ফিরে গভর্নর জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাংক ইডিএফ ফান্ডে এক বিলিয়ন ডলার ঋণের গ্যারান্টি দেবে। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক পরিদর্শনে দেখা যায়, রফতানিতে সহায়তা করতে রিজার্ভের অর্থে গঠিত ইডিএফ লুটপাট হয়। রফতানির নামে এ তহবিল থেকে ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ না করে অনেক ব্যবসায়ী খেলাপি হয়ে পড়েছেন। অনেকে আবার এ অর্থ পাচারও করে দিয়েছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের শর্ত হিসেবে গত এক বছরে ইডিএফ ফান্ডের আকার ব্যাপকভাবে সংকুচিত করা হয়েছে। করোনার সময়ের ৭ বিলিয়ন ডলারের ইডিএফ ফান্ডের আকার সাম্প্রতিক সময়ে আড়াই বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮৯ সালে ৩৮ লাখ ৭২ হাজার ডলার নিয়ে ইডিএফ তহবিল গঠন করা হয়। কোভিডকালে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি পাওয়া ২০২২ সালে ইডিএফের তহবিলের আকার বাড়িয়ে ৭০০ কোটি (৭ বিলিয়ন) ডলারে উন্নীত করা হয়। লাগামহীন অর্থ পাচার ও ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন যুদ্ধের পর দেশে ডলার সংকট তীব্র হয়। এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন গভর্নর হন আব্দুর রউফ তালুকদার।

তিনি ইডিএফ কমাতে জোর দেন। তার নির্দেশে আকার ছোট হয়ে গত মে মাসে ইডিএফের পরিমাণ ছিল ৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন। আর জুন শেষে হয় ৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। গত জুলাইয়ে ইডিএফের আকার দাঁড়ায় ৩ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলারে। আর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর সরকারের পালাবদলের পরে আগস্ট শেষে ইডিএফের আকার হয় ২ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার এবং সেপ্টেম্বরে তা হয় ২ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার। এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে আরও ছোট হয়েছে এ ফান্ডের আকার।

জানা গেছে, আইএমএফের দেওয়া ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের শর্ত পূরণে গত বছরে মাঝামাঝি এই তহবিল থেকে ঋণ বিতরণ বন্ধ রাখা হয়। পরে সীমিত পর্যায়ে চালু করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, আলোচিত বিসমিল্লাহ, ক্রিসেন্ট গ্রুপ, বেক্সিমকোসহ শীর্ষ ৪০টি প্রতিষ্ঠানের কাছে দীর্ঘদিন ধরে ৬০০ মিলিয়ন ডলারের মতো আটকে রয়েছে। এর মধ্যে আটটি গ্রুপের কাছেই প্রায় আড়াইশ মিলিয়ন ডলারের ইডিএফ ঋণ রয়েছে।

সময়ের আলো/জেডআই




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ। নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।
ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close