ই-পেপার বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫
বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫
ই-পেপার

বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫

৪ মেগা প্রকল্পের ভবিষ্যৎ অন্ধকার
নিজেদের স্বার্থেই এসব প্রকল্প নিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৪, ৩:০৩ এএম  (ভিজিট : ৮৮৪)

অকল্পনীয় প্রকল্পপ্রীতি ছিল ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের। দেশের লাভ-ক্ষতির কোনো বাছ-বিচার না করেই নেওয়া হয়েছে অনেক মেগা প্রকল্প। এখন বেরিয়ে আসছে, মেগা প্রকল্প আসলে দেশের কল্যাণে নয়, নিজেদের স্বার্থেই নিয়েছিল হাসিনা সরকার। এ রকম চার মেগা প্রকল্পের ভবিষ্যৎ এখন অন্ধকার। কারণ প্রকল্পগুলোর ব্যয় ধরা হয়েছিল অস্বাভাবিক। এ কারণে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এসব প্রকল্পের ব্যয়ের লাগাম যেমন টেনে ধরছে, তেমনি কোনো প্রকল্পের পরিধি কমানোর জন্য সংশোধনীও আনছে। ফলে অনেক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। 

এদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নেওয়া মেগা প্রকল্পের যেগুলোর কাজ শেষ হয়ে গেছে সেগুলো যে লক্ষ্য-উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছিল সেগুলোও পুরণ হচ্ছে না। এ ছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়নের পর যে সুফল পাওয়ার কথা ছিল তার ছিটেফোঁটাও দেখা যাচ্ছে না।

পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা সময়ের আলোকে বলেন, দফায় দফায় প্রকল্পগুলোতে মেয়াদ বৃদ্ধির সঙ্গে খরচের টাকাও বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে প্রকল্পে আন্তর্জাতিক ট্রেডগুলোতে ১০ শতাংশ করে খরচ বাড়ানো হয়েছে। সেটি তো সবাই জানত। কিন্তু সত্য বলার মতো লোক ছিল না। রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া এসব প্রকল্প এখন সরকারের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। ফলে প্রকল্পগুলো নতুন করে মূল্যায়ন করতে হচ্ছে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও কমিশন সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতুর রেল সংযোগসহ চার মেগা প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫১ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা, পদ্মায় রেল সেতু প্রকল্পে ৩৯ হাজার কোটি টাকা, দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ
ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা এবং কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পে ১১ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। এসব প্রকল্পে অর্থায়ন করা জনগণের করের টাকা পুরোটাই জলে গেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

আউটপুটশূন্য চার প্রকল্পের মধ্যে 'দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেললাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ' প্রকল্প। আলোচিত এ প্রকল্পে ১ হাজার
৮০০ কোটি টাকার প্রকল্পের ব্যয় ১০ গুণ বাড়িয়ে ১৮ হাজার কোটি টাকা করা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছিল তুমুল বিতর্ক। পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো প্রকল্পটির দ্বিতীয় সংশোধনী প্রস্তাব সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। 

সম্প্রতি প্রস্তাবের ওপর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পটি ২০১০ সালে ১ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা
ব্যয়ে বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। মোট ব্যয়ের মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ছিল ৮১৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়ন ছিল ১ হাজার ৩৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৩ সালের জুন মাসে।

পরে ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়াই প্রকল্পের মেয়াদ প্রথমবার তিন বছর বৃদ্ধি করে ২০১৬ সাল পর্যন্ত করা হয়। 

এরপর প্রকল্পটির প্রথম সংশোধিত প্রস্তাব একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে মধ্যে সাফারি অর্থায়ন বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৯১৯ কোটি এবং এডিবির ঋণ বেড়ে দাঁড়ায় ১৩ হাজার ১১৫ কোটি টাকা। আর প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত। পরে প্রকল্পের মেয়াদ দুই দফায় তিন বছর বাড়ানো হয়। বর্তমানে কাজের পরিধি এবং ডিজাইন প্যারামিটার পরিবর্তনের কারণে প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধন প্রসাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবে প্রকল্পের বায় ৩৭ শতাংশ বা ৬ মালের ৬৮২ কোটি টাকা কমিয়ে ১১ হাজার ৩৫১ কোটি টাকা করা হয়েছে। প্রকল্পের ব্যয় একলাফে ১০ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।

সবশেষ অনুমোদিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রভাবে (ডিপিপি) দোহাজারী থেকে কক্সবাজার এবং। রায় থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত মোট ১২৮ কিলোমিটার ভূমি অধিগ্রহণসহ রেল ট্র্যাক নির্মাণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিল। বর্তমানে রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত ভূমি অধিগ্রহণসহ ২৮ কিলোমিটার রেল ট্র্যাকনির্মাণ অংশ বাদ দিয়ে দ্বিতীয় সংশোধনী প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটির বিষয়ে সম্প্রতি পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিন উদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, কক্সবাজার-ঘুমধুম প্রকল্পটি হাতে নেওয়ার আগে গভীরভাবে চিনা করা হয়নি। কেননা তখন বলা হয়েছিল এটি বাস্তবায়ন করা হলে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে যুক্ত হওয়া যাবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো ঘুমধুমের ওপারে মিয়ানমারে শুধু পাহাড়ি এলাকা। যেখানে ওপারে রেললাইন তৈরির কোনো পরিকল্পনাও নেই। তা হলে এত টাকা ব্যয় করে অপরিকল্পিত প্রকল্প নেওয়ার কী প্রয়োজন ছিল।

ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, প্রবন্ধটি বাস্তবায়নে ঋণ দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক। তবে রামু ঘুমঘুম অংশের জন্য অর্থায়ন করতে অপারগতা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। এ ছাড়া মিয়ানমারে যে সংঘাতময় অস্থির পরিস্থিতি চলছে সেখানে ট্রান্স এশিয়ান রেল সংযোগ স্থাপন আপাতত সম্ভব নয়। এ জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিলের বিপুল অঙ্কের অর্থ ব্যয় করে ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ করাস যৌক্তিক হবে না। এটি বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে বাদ দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (অহিএমইডি) সুত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটিতে গত জুলাই পর্যন্ত খরচ হয়েছে ১০ হাজার ৫০ কোটি ৫২ লাখ টাকা। প্রকল্পটির আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৫০ দশমিক ১৮ শতাংশ। এ ছাড়া ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৯৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। অন্যদিকে প্রতিদিন লোকসান গুনছে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকায় নির্মিত কর্ণফুলী টানেল। প্রকল্পটি এখন পরবারের ঘাড়ের ওপর বোনা হয়ে উঠেছে। বেশিরভাগ সময় টানেল থাকে ফাঁকা। নেই যানবাহনের চাপ। নির্মাণের আগে জরিপে ২০ হাজারের বেশি গাড়ি চলবে বলা হলেও এখন গড়ে দৈনিক সাড়ে ও মামার গাড়ি চলছে। দিনে গড়ে আয় হচ্ছে ১২ লাখ টাকার মতো। অথচ দিনে রক্ষণাবেক্ষণের খরা। সাড়ে ৩৭ লাখ টাকা। এর বাইরে চীনের ঋণ পরিশোধের দায় তো রয়েছেই। 

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে জানা গেছে, গত অর্থবছরেই শুরু হয়েছে ঋণ পরিশোষ। বছরে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা টানেলের ঋণ পরিশোধ করতে হবে। বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মইনুল ইসলাম বলেন, 'দিনেলের উপযোগী সিস্টেম গড়ে ওঠেন। পরিবহন ব্যবস্থা না করে দিনেল নির্মাণ করা হয়েছে। চট্টগ্রামের মিরসরাই থেকে কক্সবাংলয় পর্যন্ত মেরিন ব্রাইড নির্মাণ করা হলে এর পাশে বিভিন্ন ধরনের শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে। এসব কারখানায় পণ্যবাহী যানবাহন টানেলের ভেতর দিয়ে চলাচল করবে। যদি তা না হয়, টানেল একরকম অব্যবহৃত থেকে যাবে।' এ ছাড়া সড়ক যোগাযোগে পদ্মা সেতু বিপ্লব ঘটালেও পদ্মা রেল সেতুর লাভালক হওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। পদ্মা রেল সেতুর ৩৯ হালায় কোটি টাকার বিনিয়োগ পুরোটাই জলে গেছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

তারা বলছেন, সহজলভ্য বাদ, বাসের চেয়ে ট্রেনের ভাড়া অপেক্ষাকৃত বেশি, সময়মতো ট্রেননা হাড়াসহ কয়েকটি কারণে ট্রেনের পরিবর্তে বাসকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে ফরিদপুর ও ভালার মানুষ। ফলে ওই পথে লোকগান করছে রেলওয়ে। নতুন এ রেলপথে দৈনিক ২৪ ও জোড়া বা ৪৪৮ ৫৮টি যাত্রী ও মালবাহী ট্রেন চলাচল করায় কথা থাকলেও চলছে মাত্র ১০টি যাত্রীবাহী ট্রেন মালবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়নি।

আইএমইডি সূত্রে জানা গেছে, এ প্রকল্পে গত জুলাই পর্যন্ত গরা হয়েছে ৩৩ হাজার ৪৬৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। অর্থিক অগ্রণতি ৮৫ দশমিক ২৮ শতাংশ। এ ছাড়া প্রকল্পে ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৯৫ শতাংশ। এটি বাস্তবায়নে ব্যয় হনে মোট ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো হাদিউজ্জামান বলেন, রেলের অনেক প্রকল্পই নেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক বিবেচনায়। এর মাধ্যমে জনগণের কতটা লাভ হবে বা অর্থনৈতিকভাবে এ প্রকল্প থেকে কতটা সফলভা আদুরে তা চিন্তা করা হয়নি। ফলে এত বড় বিনিয়োগ করেও অর্থনীতিতে তার কোনো ভূমিকা নেই। আর জ্বালানির নির্ভরযোগ্য সংস্থান ছাড়াই ৫১ হাজার ৮৫৪ কোটি দিকা ব্যয়ে মাতারবাড়ী প্রকল্পে তৈরি করা হয়েছে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এখন কয়লা আমদানিয় অনিশ্চয়তায় উৎপাদন বন্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রে। ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের দুই ইউনিটের একটি পূর্ণাঙ্গ উৎপাদনে ও আরেকটি পরীক্ষামূলক উৎপাদনে রয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা বললেও এখন পর্যন্ত ১ হাজার মেগাওয়াটের বেশি উৎপাদন করতে পারেনি। আর গড়ে এর উৎপাদন ৯০০ মেগাওয়াট।

এদিকে প্রকল্প পরিচালকের দুর্নীতিতে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে কয়লা আমদানি। আগস্টের পর আর কয়লা আমদানি হয়নি। তিন বছরের কমলা সরবরাহের জন্য কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান অয়ে। তবে প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ মেঘনা গ্রুপের ইউনিক সিমেন্ট কনসোর্টিয়ামকে সুবিধা দিতে ১০ মাস দেরি করেন। শেষ পর্যন্ত অনিয়মের অভিযোগ তুলে হাইকোর্ট কমালা আমদানিতে হয় মাসের নিষেধাজ্ঞা দেন গত জুলাই মাসে। যদিও সরকারের হস্তক্ষেপে পরে তুলে নেওয়া হয় নিষেধাজ্ঞা।

সম্প্রতি মাতারবাড়ী তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিদর্শন করে একে 'প্রকল্প বিলাস' বলে অভিহিত করেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সাধারণ মানুষ খুব বেশি উপকৃত হচ্ছে না। ফুল প্রকল্পের ধারণা অনুসারে গভীর সমুদ্রবন্দর, শিল্প-কারখানা রেল ও সড়ক সংযোগ না করেই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়েছে।

আইএমইডি সূত্রে জানা গেছে, এ প্রকল্পে জুলাই পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৪৪ হাঙ্গর ৪৬৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা। আর্থিক অগ্রগতি ৭৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং সার্বিক অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ৮৮ দশমিক ২০ শতাংশ। বেদরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ও
শ্বেতপত্র প্রদান কমিটির সদস্য অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান সময়ের আলোকে বলেন, শুধু মেগা প্রকল্প নয়, নয়, বিদেশি অর্থায়ন বা ঋণের সঙ্গে অড়িত অনেক প্রকল্প রয়েছে। আমাদের এ মুহূর্তে বিদেশি ঋণের সঙ্গে জড়িত প্রকল্পগুলোকে প্রাধান্য দেওয়া জরুরি। প্রকল্পের কাজ বন্ধ না করে আলোচনার ভিত্তিতে সাশ্রয়ী রেটে কাজগুলো শেষ করতে হবে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সাশ্রয়ী মেটে পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেলের মতো প্রকল্পের কাজ শেষ করেছে। সেহেতু খরচ যত দম্ভব কমিয়ে প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ করা প্রয়োজন। এ মুহূর্তে প্রকল্পের কাজ বন্ধ হলে আইন অনুযায়ী দাতা সংস্থাগুলো ব্যবস্থা নিতে পারে। এদিকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের নাচবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব (আইএমইডি) আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন সময়ের আলোকে বলেন, ফাণ্য ট্রাকচুক্ত মেগা প্রকল্পগুলো আপাতত বন্ধ হচ্ছে না। যেহেতু অধিকাংশ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি ৭০ শতাংশের বেশি হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে এরই মধ্যে প্রকল্পগুলোতে অনেক টাকাও খরচ করা হয়েছে। তাই এসব প্রকল্পে প্রয়োজন অনুসারে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া উচিত।


সময়ের আলো/আরএস/




এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ। নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।
ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close