ই-পেপার শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪

আ.লীগ নেতার মুক্তির দাবিতে পোস্টারিং
প্রকাশ: বুধবার, ১৯ জুন, ২০১৯, ১২:০০ এএম  (ভিজিট : ১০৪)
ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফী হত্যা মামলার আসামি সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিনের মুক্তির দাবিতে পোস্টারিং করা হয়েছে। সোমবার রাত থেকে সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগ, সব সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের ব্যানারে ফেনী শহর ও সোনাগাজী উপজেলা জুড়ে এই নেতার মুক্তির দাবিসম্বলিত পোস্টারে ছেয়ে গেছে। যদিও এই পোস্টারিংয়ের সঙ্গে দলীয় কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা। পোস্টারে ‘সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রুহুল আমিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তি চাই’ উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুর রহমান বিকম জানান, তাকে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দাবি করে মুক্তি চেয়ে পোস্টারিং করা ঠিক হয়নি। সাবেক সভাপতি লেখা উচিত ছিল। তার মুক্তির দাবিতে ছাপানো পোস্টারের জেলা বা উপজেলা আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই।
উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক মফিজুল হক জানান, এই পোস্টারিংয়ের সঙ্গে সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন জানান, পোস্টারিংয়ের সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই। সোনাগাজী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আজিজুল হক হিরন ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম ভুট্টো জানান, পোস্টারিংয়ের সঙ্গে যুবলীগের কেউ জড়িত নয়। সাংগঠনিকভাবে কাউকে এসব পোস্টারিংয়ের দায়িত্বও দেওয়া হয়নি। রাফী হত্যা মামলায় গত ২৯ মে রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রদানের পর ৩০ মে জেলা আওয়ামী লীগের এক জরুরি সভায় অধ্যাপক মফিজুল হককে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
গত ২৭ মার্চ মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী রাফীকে নিজ কক্ষে ডেকে অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে রাফীর পরিবার মামলা করে। এরপর মামলা তুলে নিতে রাফীর পরিবারকে হুমকি দেয় সিরাজের ক্যাডার বাহিনী। ওই মামলায় সিরাজ-উদ-দৌলা কারাগারে থাকা অবস্থায় ৬ এপ্রিল রাফীকে মাদ্রাসার ছাদে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে মুখোশধারীরা। এ ঘটনায় আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনকে আসামি করে রাফীর ভাই নোমান থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারভুক্ত আসামিসহ ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও পিবিআই।
২১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের মধ্যে নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, আবদুর রহিম শরিফ, হাফেজ আবদুল কাদের, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন্নাহার মনি, জাবেদ হোসেন, জোবায়ের আহাম্মদ, অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা, ইমরান হোসেন মামুন, ইফতেখার হোসেন রান ও মহিউদ্দিন শাকিল আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। তারা ১২ জনই রাফী হত্যাকাÐে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে চঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করেছে।
গত ২৮ মে ফেনীর সিনিয়র বিচারিক হাকিম জাকির হোসাইনের আদালতে সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিনসহ ১৬ জনকে আসামি করে ৮০৮ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র দাখিল করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কর্মকর্তারা। ৩০ মে বিচারিক হাকিম জাকির হোসাইন অভিযোগপত্রসহ মামলার নথি ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে পাঠিয়ে দেন।




সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close