প্রকাশ: শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম (ভিজিট : ৭৯)
এখনও পরীক্ষামূলকভাবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর মাধ্যমে তাদের অনুষ্ঠান এবং সংবাদ সম্প্রচার করছে দেশের ৩০টি বেসরকারি এবং চারটি সরকারি টেলিভিশন। তবে আগামী ২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক চুক্তির মাধ্যমে দেশের সবগুলো টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এ উঠবে। ইতোমধ্যে টেলিভিশনগুলোর সঙ্গে চুক্তির খসড়া চ‚ড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড।
ওই দিন চুক্তিপত্র হস্তান্তরের পরেই বেসরকারি টেলিভিশনগুলো আগে যে স্যাটেলাইটের সঙ্গে তাদের চুক্তি ছিল সেটি ছিন্ন করবে বলে জানিয়েছেন বিসিএসসিএলের চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ। তিনি জানান, এর মাধ্যমে দেশের বছরে অন্তত ছয় মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হবে।
বর্তমানে দেশের সবগুলো টেলিভিশনের হংকংভিত্তিক স্যাটেলাইট কোম্পানি স্টার অ্যালায়েন্সের কাছ থেকে প্রতি মাসে মেগাহার্টজ প্রতি স্পেকট্রাম ৪-৫ হাজার ডলারে কেনে। একেকটি টেলিভিশন চ্যানেলে ৪-৬ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম লাগে। এতে মাসে সর্বনিম্ন সাড়ে ১৩ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হচ্ছে।
বিসিএসসিএল মূল্য কমিয়ে দেওয়ায় এখন স্টার অ্যালায়েন্সও প্রতি মেগাহার্টজ ২ হাজার ডলারে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এদিকে এটিএন বাংলার চিফ ইঞ্জিনিয়ার জাহিরুল ইসলাম আবেদন জানান সম্প্রচার সক্ষমতার দিক থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ খুবই ভালো। সে কারণে ছবির মানও অনেক ভালো পাওয়া যাচ্ছে।
সবগুলো টিভি চ্যানেল মিলে প্রায় সাড়ে পাঁচ ট্রান্সপন্ডার ক্যাপাসিটি ব্যবহার করবে। তা ছাড়া এর আগে বেক্সিমকো গ্রæপের কোম্পানি ডাইরেক্ট টু হোম বা ডিটিএইচ আকাশ ছয়টি ট্রান্সপন্ডার ভাড়া নিয়েছে।
১৯ মে বিসিএসসিএলের সঙ্গে ছয়টি বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলÑ দীপ্ত টিভি, সময় টিভি, যমুনা টিভি, বিজয় বাংলা, বাংলা টিভি এবং মাই টিভি আনুষ্ঠানিক চুক্তির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ ব্যবহার করছে। তা ছাড়া বিটিভির চারটি চ্যানেলও একইভাবে এই স্যাটেলাইট দিয়ে সংবাদ ও অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে। উল্লেখ্য, গত বছর ১১ যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে দেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১।