প্রকাশ: শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৬:৩০ এএম (ভিজিট : ৩৭৩৮)
কয়েক দশক আগে রক্তহীন সম্পর্কের দুই ভাইবোন দুঃখ ও বেদনার সঙ্গে পত্রমিতালী হয়েছিল হঠাৎ। তারপর দুজনার সঙ্গে কফিশপে দেখা এবং তুমুল বন্ধুত্ব। অতঃপর শতাব্দীর আঁকাবাঁকা পথে হেঁটে চলেছি, দুঃখ ও বেদনার সঙ্গে একা একা।
মনে পড়ে একদিন তোমার বাড়ির পথে যেতে, বাগানের যে কচি গোলাপটি ছিঁড়ে নেব বলে, যেই হাত বাড়িয়েছি, দেখি বুকের ভেতর রক্ত ঝরছে; মায়ার রক্ত, মমতার রক্ত, মাটিভেজা লতাপাতার রক্ত।
তখন আর সেই নরম-কোমল গোলাপটি ছেঁড়া হয়নি, দৃশ্যের বাইরে এক অদৃশ্য সুতার বাঁধনে জড়িয়ে কিশোর যুবকের জন্য এক স্বপ্ন নিয়ে বাড়ি ফিরেছি, যেন বুকের ভেতর রাজার আনন্দ নিয়ে এসেছি এবং গাছে ফোটা সেই কচি গোলাপের রঙ ও শুভ্রতায়, সেই গোলাপের ঘ্রাণ ও মুগ্ধতায় প্রতিদিন প্রতি নিঃশ্বাসে , জলে ও বাতাসের অক্সিজেনে চারাগাছের মতো পরিচর্যা করে করে সবজি বাগানের ফড়িংয়ের মতো উড়ে উড়ে একদিন দেখি, গোলাপটি হেঁটে হেঁটে কৈশোর পেরিয়ে নদী তরঙ্গের সিঁড়িতে পা দিয়েছে আর তার জলের সৌরভে ভিজে যাচ্ছে দিগন্ত বিস্মৃত শহরের নতুন নতুন গল্প-কেউ কেউ বলেছে শুনেছি, এমন মুগ্ধ জলের মুখ দেখেনি তারা অথবা এমন গোলাপের পাপড়ি আঁকা চোখের ছবি দেখেনি কখনো।
অতঃপর দেখি, সবজি বাগানের সেই ফড়িংয়ের পাখা বিস্মৃত সেই সব গল্পের ঝড়ে ভেঙে পড়েছে, খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে সে উড়ছে আর কিশোর যুবকের বুকে বেড়ে ওঠা সেই রাজার আনন্দ ও স্বপ্ন ভুল গন্তব্যের ট্রেনে চড়ে অজানা-অচেনা জংশনের কফিশপের বারান্দায় দাঁড়িয়ে কেঁদে কেঁদে অপেক্ষা করছে নতুন কোনো ট্রেনের-সেই থেকে দুঃখ ও বেদনার সঙ্গে যুবকের নিবিড়বাস।
সময়ের আলো/আরএস/