প্রকাশ: শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২, ৬:২৮ পিএম (ভিজিট : ৩৭৮)
সমুদ্র সৈকতসহ গোটা কক্সবাজারে লোকে লোকারণ্য। হোটেল-মোটেলসহ কটেজের কোথাও রুম খালি নেই। তবে এবারও কয়েক লাখ পর্যটকের সমাগম হলেও থার্টি-ফাস্ট নাইটের কোনও আয়োজন নেই।
ট্যুরস অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক) সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, ‘২০১৭ সালে রোহিঙ্গা আগমন ঘটায় সে থেকে নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে থার্টি ফাস্ট নাইটে সৈকতে সব ধরনের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে তারকা হোটেল ওশান প্যারাডাইজ, সায়মন বিচ রিসোর্ট ও রয়েল টিউলিপ সি পার্লসহ আরও কয়েকটি হোটেল ইনহাউজ গেস্টদের জন্য আয়োজন করছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।’
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান বলেন, ‘সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় এবারও উন্মুক্ত অনুষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে পর্যটকরা চাইলে রাত ১-২টা পর্যন্ত বিচে ঘুরতে পারবেন। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বেশ কয়েকটি টিম মাঠে থাকবে। কিন্তু রাত দশটার পর হোটেলের সব বার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
কক্সবাজার হোটেল-গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ‘থার্টি-ফাস্ট নাইট উৎসব না হলেও কক্সবাজারের ৮০-৮৫ শতাংশ হোটেল-মোটেল বুকিং আছে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত । তবে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে জাহাজ চলাচল সচল থাকলে পর্যটকের সমাগম আরও বেশি হতো।’
হোটেল ওশান প্যারাডাইস লিমিটেডের পরিচালক আবদুল কাদের মিশু বলেন, ‘বর্ষবরণে পর্যটকদের চাহিদার কারণে বলরুমে ইনহাউজ গেস্টদের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।’
কক্সবাজার চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, ‘রোহিঙ্গা বিষয়টি মানবিক বিপর্যয়। এটি কক্সবাজারের সৌন্দর্যকে ম্লান করতে পারেনি। তাই থার্টি ফাস্ট নাইটে সৈকতে উন্মুক্ত অনুষ্ঠান বন্ধ রাখা যুক্তিযুক্ত হয়নি। থার্টি ফাস্ট নাইটের অনুষ্ঠান করা গেলে পর্যটনের বিভিন্ন সেক্টরে কয়েকশ কোটি টাকা বাণিজ্য হত বলে তারঁ দাবি।’
কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের এসপি মো. জিললুর রহমান বলেন, ‘সৈকতের কোথাও আতশবাজি, ফটকা ফোটানোসহ গান-বাজনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কিংবা ব্যান্ডসংগীতের আয়োজন করা যাবে না। তবে বালুচরে দাঁড়িয়ে সমুদ্র উপভোগ করা যাবে সৈকত।’
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, সৈকতের উন্মুক্ত স্থানে থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে কনসার্ট, গান বাজনাসহ সব ধরনের আয়োজন বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে হোটেল কর্তৃপক্ষ চাইলে তাদের অতিথিদের জন্য নববর্ষ উদযাপনের আয়োজন করতে পারে। সার্বক্ষণিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পর্যটন এলাকায় টহলে রয়েছে। নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশ ও মাঠে থাকবে বলে জানান তিনি ।
/এসএইচএন