প্রকাশ: শনিবার, ৪ মে, ২০২৪, ৯:১৩ পিএম (ভিজিট : ৪২৮)
ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের বিষয়খালী এলাকা এখন যেন মৃত্যুর ফাঁদে পরিণত হয়েছে। তাই সড়কটি দ্রুত মেরামত করা না হলে ঘটতে পারে বড় ধরণের যেকোনো দুর্ঘটনা। তীব্র গরম আর তাপদাহে রাস্তার উপর দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচলের কারণে মহাসড়করে বিটুমিন সরে গিয়ে উঁচু নিচু হয়ে গেছে।
সড়কের বিষয়খালীর বটতলা নামকস্থান থেকে রাকিবের চায়ের দোকান পর্যন্ত ১০০০ থেকে ১২০০ ফিট রাস্তায় ছোট-বড় দুর্ঘটনা লেগেয় আছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে এই সড়কটি এতটাই বেহাল অবস্থা যে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এই সড়ক এখন দেখলে মনে হবে না এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় মহাসড়ক। ঝিনাইদহ-যশোর সড়কটি দেখতে এখন একদম মেঠো সড়কে পরিণত হয়েছে। মেঠো সড়কে যেমন গরুর গাড়ি চলতে চলতে গ্রামের ভাষা অনুযায়ী পয়ান হয়ে যায়। এখন ঠিক এই মহাসড়কটি পয়ানে পরিণত হয়েছে। তাই দু’সপ্তাহের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও এখনও ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগ মেরামতের জন্য নেয়নি কোন উদ্যোগ।
এই সড়কে চলাচলকারী হাজারো যাত্রী ও গাড়ি চালকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই প্রতিনিয়ত চলছে পথ। প্রতিদিনই অকেজো হয়ে পড়ছে অসংখ্য গাড়ি। এরই ফলে সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট। এই সড়কে এপ্রিল মাসে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পথযাত্রী হয়ে বিছানায় কাতরাচ্ছেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিপুর গ্রামের ব্যাংক কর্মকর্তা রুবেল হোসেন।
প্রত্যক্ষদর্শী চা ব্যবসায়ী রাকিব হোসেন জানান, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ২০ থেকে ২৫টি মোটরসাইকেল ছিটকে পড়ছে রাস্তায়। আর চা বানানো বাদ দিয়ে দৌড়ে গিয়ে তাদের জীবন বাঁচাতে টেনে তোলা হচ্ছে রাস্তা থেকে। এই দুই সপ্তাহে শত শত মোটরসাইকেল যাত্রী আহত হয়েছে। তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেছেন মোটরসাইকেল যাত্রীরা। কখন না জানি বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এই সড়কে। তাই সড়ক বিভাগের কাছে দাবি দ্রুত সড়কটি মেরামত করে যান চলাচলের উপযোগী করা হোক। আর তা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে যেকোনো সময়।
বাস চালক বছির উদ্দীন বলেন, এই রাস্তা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে আমাদের। মেরামত না করা হলে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যাবে। জীবন চলে গেলে আর ফিরে পাওয়া যাবেনা।
এলাকাবাসীর দাবী, ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের বিষয়খালীর বটতলা নামকস্থান থেকে রাকিবের চায়ের দোকান পর্যন্ত সড়কটি দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করে দেবার।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মনজুরুল করিম বলেন, এই সড়কটি উইকিয়ার প্রজেক্টের আওতায়। এখন তারা এই সড়কটি দেখভাল করছে।