প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৭ জুন, ২০২২, ২:৪৫ এএম (ভিজিট : ২১৩০)
বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুনের পর বিস্ফোরণে হতাহতদের উদ্ধার ও সহায়তা কাজে প্রথম থেকেই এগিয়ে আসে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ। ঘটনার পর থেকে সংগঠনটির কয়েকশ কর্মী এ কাজে নিরলস শ্রম দেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, শনিবার রাতে বিস্ফোরণের ঘটনার পরপরই গাউছিয়া কমিটি বিএম ডিপো থেকে লাশ বহনে তাদের চারটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়োজিত করে। সেই সঙ্গে অগ্নিদগ্ধদের রক্তদান ও বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ কাজ চালিয়ে যায়।
সোমবার পর্যন্ত আহতদের ওষুধ ও রক্ত সরবরাহের পাশাপাশি সংগঠনের কর্মীরা হাসপাতালে আগতদের পানি ও খাবার সরবরাহ করেছেন। গাউছিয়া কমিটির পাশাপাশি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, বিএনসিসিসহ আরও বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন হতাহতদের উদ্ধার ও সেবায় কাজ করছে। তাদের সহযোগিতায় চিকিৎসাসেবা ও প্রশাসনিক কাজ যথেষ্ট এগিয়ে গেছে বলে জানা যায়।
মহামারিকালে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের সেবা ও সংক্রমণে মৃত ব্যক্তিদের দাফন-কাফনের কাজ করে সুনাম কুড়িয়েছিল গাউছিয়া কমিটি। এ বিষয়ে গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ মানবিক সেবা কর্মসূচির সদস্য মোহাম্মদ এরশাদ খতিবী বলেন, সীতাকুণ্ড গাউছিয়া কমিটির কর্মীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাত থেকে কার্যক্রম শুরু করি। গাউছিয়া কমিটির চারটি অ্যাম্বুলেন্সে হতাহতদের চমেক হাসপাতাল, সিএমএইচ, মা ও শিশু হাসপাতাল, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল, পার্ক-ভিউসহ বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়।
গাউছিয়া কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও মানবিক সেবা কর্মসূচির প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার জানান, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে উদ্ধার কাজ করছেন গাউসিয়া কমিটির কর্মীরা। পাশাপাশি আহতদের জন্য রক্তদান, প্রয়োজনীয় ওষুধ ও কাপড় দেওয়া হয়েছে। যতক্ষণ প্রয়োজন হবে ততক্ষণ পর্যন্ত মানবিক এই ভয়াবহ দুর্যোগে পাশে থাকবে এই টিম।
/আরএ