প্রকাশ: সোমবার, ৩ অক্টোবর, ২০২২, ৮:০৪ পিএম (ভিজিট : ২৫৫)
রাজশাহীর বিভিন্ন সড়কে ইতোমধ্যে বসানো হয়েছে নতুন ও আধুনিক সড়কবাতি। এতে বেড়েছে সৌন্দর্য ও মান। তবে সম্প্রতি রাজশাহীর কোর্ট স্টেশন বাজার থেকে লিলি হলের মোড় পর্যন্ত সড়কটিতে আলোকায়নের জন্য লাগানো হচ্ছে পুরনো ও অকেজো সড়কবাতি। মানহীন এই কাজের জন্য স্থানীয়দের মধ্যে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ ও ক্ষোভ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়কের ল্যাম্পপোস্টগুলোতে ব্যবহার করা হচ্ছে পুরনো ও অকেজো বাল্ব। পুরু ধুলোর প্রলেপে ঢাকা বাল্বগুলো কোনো রকম মেরামত না করে লাগিয়ে দায়সারা কাজ সারছে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে নগরীর লিলি হল এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় ২৫-৩০টি ল্যাম্পপোস্টে এসব বাল্ব ইতোমধ্যেই লাগানো শেষ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি।
এ ছাড়াও প্রতিবেদকের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে বিপুল পরিমাণ পুরনো বাল্ব একটি ট্রাকে আবর্জনার স্তূপের মতো পড়ে আছে। দেখে বোঝার উপায় নেই যে, এই বাল্বগুলো ব্যবহারের উপযোগী। কোনো বাল্বে মরিচা আবার কোনোটির সংযোগ তার ঝলসানো। এ ছাড়া প্রতিটি বাল্বের ওপরের আবরনী কাচে লেগে রয়েছে পুরু ধুলোবালির প্রলেপ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, এসব বাল্ব দেখে আমরা খুবই কষ্ট পেয়েছি। কারণ রাজশাহীর প্রায় সব রাস্তাতেই প্রজাপতি ডানা, রাজমুকুট লাইটসহ খুব সুন্দর ও আকর্ষণীয় লাইট ও ল্যাম্পপোস্ট লাগানো হয়েছে। কিন্তু কোর্ট স্টেশন থেকে লিলি হলের রাস্তাটিতে লাগানো হচ্ছে পুরনো অকেজো বাল্ব। বাল্বগুলোর যে অবস্থা, তাতে মনে হচ্ছে লাগানোর পর কত দিন টিকবে তারও কোনো গ্যারান্টি নেই। মূলত দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার দুর্নীতি করতেই এ ধরনের পুরনো বাল্ব লাগাচ্ছে।
কোর্ট বাজার এলাকায় কর্মরত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন দায়িত্বে থাকা কর্মচারীকে পুরনো লাইট লাগানোর ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তারা কোনো সদুত্তর না দিয়েই সেখান থেকে সটকে পড়েন। পুরনো বাল্ব লাগানোর কাজ করার জায়গাটির পাশেই অবস্থিত রাসিকের ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের কার্যালয়।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমিই রাজশাহী সিটি করপোরেশনে (রাসিক) বলেছিলাম পুরনো এই বাল্বগুলো লাগাতে। কারণ, আমি জানি বাল্বগুলো খুব ভালো মানের। তবে হতাশ হয়েছি যখন দেখলাম যে প্রায় ২৫ লাখ টাকা সংস্কার বিল দেখানোর কথা বলে এই বাল্বগুলো লাগানোর কথা থাকলেও পুরনো এসব বাল্ব একবারও পরিষ্কার করা হয়নি। পূর্বে যে অবস্থাতে ছিল ঠিক তেমনিভাবে বাল্বগুলো লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে আমি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলা ও অব্যবস্থাপনা লক্ষ্য করছি।’
সড়কবাতি লাগানোর এসব কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিকের নাম আশরাফুল হুদা টিটু। তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় তার মন্তব্য মেলেনি।
স্থানীয়দের দাবি, নগরীর প্রতিটি সড়কের মতো কোর্ট বাজার ও লিলি হলের মোড়ের সড়কটিতেও নতুন ও অত্যাধুনিক সড়কবাতি লাগানো হোক।
/জেডও