প্রকাশ: শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ৪:৩৫ এএম আপডেট: ১৭.১২.২০২২ ৩:২১ এএম (ভিজিট : ৩৪৪)
বিজয় পেয়ে খুশি পাখি করে কলরব
চতুর্দিকে কী কোলাহল
খুশির উৎসব।
বিজয় পেয়ে খুশি খোকা
ছুটে দিগিদিক
সন্ধ্যা হলেই ঘরে ফিরে
লক্ষ্মী খোকা ঠিক।
বিজয় পেয়ে খুশি ফুলও
বাতাসে দেয় দুল
প্রজাপতির সঙ্গ পেয়ে
খুশির হুলস্থূল!
বিজয় পেয়ে খুশি বাবা
খুশি মা ও ভাই
রক্তে কেনা এই ইতিহাস
সবার জানা চাই।
বিজয়ের স্বাদ
শ্যামল বণিক অঞ্জন
বাংলার বীর হাসে বিজয়ীর হাসি
মুক্ত বায়ুতে উড়ে সুখ রাশি রাশি!
নির্ভয়ে লড়ে ওরা হায়েনার সাথে
বিজয়ের পতাকাটা নিল তুলে হাতে।
চারিদিকে বেজেছিল যুদ্ধের ডঙ্কা
জনমনে জেগেছিল শত ভয় শঙ্কা!
জননীর পথ ছিল ঢেকে কালো আঁধারে
শৃঙ্খলে ছিল তাঁর হাত-পাও বাঁধারে।
সব ডর ভয় ভুলে পড়েছিল ঝাঁপিয়ে
বাংলার দামালেরা বিশ্বকে কাঁপিয়ে।
লড়ে গেল নয় মাস জননীকে বাঁচাতে
চাইল না রুদ্ধ থাকতে যে খাঁচাতে।
ভেঙে গেল সকলের ধৈর্যের বাঁধটা
রক্তও প্রাণে পেল বিজয়ের স্বাদটা।
বিজয় মানে
বিচিত্র কুমার
বিজয় মানে ইচ্ছেমতো
খুকুর আঁকাআঁকি,
বিজয় মানে প্রভাতবেলা
পাখির ডাকাডাকি।
বিজয় মানে ফিরে পাওয়া
নিজের অধিকার,
বিজয় মানে আত্মসম্মান
নিজের রক্ষার।
বিজয় মানে আনন্দ খুশি
শিশুর মুখের হাসি,
বিজয় মানে উল্লাস আর
রাখালিয়া বাঁশি।
মুক্তির গান
অজিত রায় ভজন
উড়ল নিশান
খুশির দিনে,
আনল বিজয়
রক্তে কিনে।
দেখল জগৎ
হাসল সবে,
এমন বিজয়
ঘটল ভবে।
লক্ষ হাজার
মায়ের সোনা,
কত্ত বোনের
স্বপ্ন বোনা।
আশার স্বপন
হারায়ে গেল,
স্বস্তি যে এই
মুক্তি এলো।
খোকার প্রশ্ন
রফিকুল নাজিম
আচ্ছা গো মা- একাত্তরে
যুদ্ধ কেন হলো,
কীভাবে এই দেশটা পেলাম
গল্প শুনব- বলো।
কারা সেদিন যুদ্ধে গেল
কোন সে জাদুর টানে
কেন তারা জীবন দিল
বারুদ পুষে প্রাণে?
বাবার কথা শুধাই যখন
কেন গো মা কাঁদো,
লাল-সবুজের অই পতাকায়
বাবার ছবিই বাঁধো?
মাগো- আমি যুদ্ধে গেলে
বাবাকে কি পাবো?
তবে আমায় দাও সাজিয়ে
যুদ্ধে আমি যাবো।
বিজয়
সোমা মুৎসুদ্দী
বিজয় মানে খোকার হাসি
পাখপাখালির ডাক
বিজয় হলো পদ্মা মেঘনা
তিস্তা নদীর বাঁক।
বিজয় মানে সবুজ মাঠে
বাউরি বাতাস বয়
বিজয় মানে মায়ের কান্না
খোকার কথা কয়।
খোকা কভু আসে না আর
যুদ্ধ জয়ের শেষে
হাজার খোকা আসল ফিরে
বীর পুরুষের বেশে।
বলল সবাই আমরা তোমার
খোকন মানিক হব
দেশকে গড়ার মন্ত্র নিয়েই
তোমার বুকে রবো।
আনন্দ
বারী সুমন
আজ বিজয়ের শুভক্ষণে
সকাল বেলার পাখি
মন ভোলানো মধুর সুরে
করছে ডাকাডাকি।
ছোট-বড় নাই ভেদাভেদ
আনন্দেরই দিন
শোধ হবে না বীর শহীদের
আত্মত্যাগের ঋণ।
ভোরের আলো ফোটার আগে
ফুল নিয়ে হাতে
যাচ্ছে সবাই বীর শহীদদের
শ্রদ্ধা জানাতে।