প্রকাশ: শুক্রবার, ৯ জুন, ২০২৩, ১১:৩৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ Count : 97
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের নির্মাণাধীন ভবনে কর্মরত নয়ন নামে এক শ্রমিককে চুরির অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শ্রমিককে আটকে নির্যাতনের খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে পুলিশ গুরুতর আহত অবস্থায় নয়নকে উদ্ধার করে। পরে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কথিত টর্চারসেল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় আইয়ুব আলী নামে আরেক শ্রমিককে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে আহত ওই শ্রমিকের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে ৪ জন নির্যাতনকারীকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিরা সবাই হাসপাতালের নির্মানাধীন ভবনের দায়িত্বে থাকা ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী।
নির্মানাধীন ওই ভবনের কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিকের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, শুক্রবার ভোরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার আমিনুলের নেতৃত্বে নয়ন ও আইয়ুব আলীকে ঘুম থেকে তুলে একটি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদের হাত-পা বেঁধে লোহার রড ও পাইপ দিয়ে পেটাতে থাকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অন্য কর্মীরা। এ সময় তারা ১ লাখ টাকা ও কয়েকটি মোবাইল চুরির অভিযোগ আনে ওই দুই শ্রমিকের বিরুদ্ধে। এদিকে শ্রমিককে আটকে নির্যাতনের খবর পেয়ে মেডিকেল ক্যাম্পের পুলিশ গুরুতর আহত অবস্থায় নয়নকে সকাল ৯টার দিকে উদ্ধার করে জরুরী বিভাগে নিলে হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আরেক শ্রমিক আইয়ুব আলীকে আটকে নির্যাতনের বিষয়টি জানতে পেরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের টর্চারসেলে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাকে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ জানান, শ্রমিক নির্যাতনের পর হত্যার খবর পেয়ে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় নির্যাতনে আহত শ্রমিকের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে চার নির্যাতনকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
সময়ের আলো/মিশু