রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের লতিবপুর রায়েরপাড়া গ্রামে একটি বাড়ির উঠানের একটি গাছে ঝুলে ছিল কিশোরের লাশ। নিহত কিশোরকে হত্যা করা হয়েছে নাকি আত্মহত্যা এ নিয়ে এলাকায় ব্যপক গুঞ্জন চলছে। তবে নিহত কিশোর নয়ন চন্দ্র রায়ের (১৫) পরিবারের দাবি হত্যা।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ। দুপুরে নিহত কিশোরের লাশ পোস্ট মর্ডেমের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের ইটভাটার শ্রমিক হিরু চন্দ্র রায়ের বড় ছেলে নয়ন চন্দ্র রায় (১৫) কুমিল্লা জেলায় শ্রমিকের কাজ করতেন। গত ১৫ দিন আগে মিঠাপুকুরের লতিবপুর রায়েরপাড়ার নিজ বাড়িতে আসেন ওই কিশোর। বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে তাকে গ্রামের একটি মোড়ে চায়ের দোকানে চা খেতেও দেখেন স্থানীয়রা। কিন্তু মাত্র ৩ ঘন্টার ব্যবধানে ওই কিশোরের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ওই গ্রামে ব্যপক আলোচনার ঝড় উঠেছে।
নিহত কিশোরের বাবা হিরু চন্দ্র রায় জানান, ঘটনার দিন রাতে বৃষ্টি ছিল তিনি রাত সাড়ে দশটার দিকে বাড়িতে এসে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে রাত সাড়ে বারোটার দিকে তিনি তার বাড়ির উঠনে সুপারি গাছে গলায় রশি পেচানো ছেলের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন। পরে লাশটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজন বুঝতে পারেন কিশোর মৃত্যুবরণ করেছেন। এরপর স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারকে বিষয়টি অবগত করে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সুরতহাল শেষে লাশ ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান বলেন, লাশ উদ্ধার করে পোস্ট মর্ডেমের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।