গত ২৯ নভেম্বর থেকে যাদের নির্দেশে গার্মেন্টস শিল্পে অস্থিরতা ও ভাংচুর অগ্নিসংযোগ, সহিংসতা করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক-শিল্প ঐক্যের নেতারা। পাশাপাশি বিগত কয়েক দিনের সহিংসতার কারণে যেন নিরাপরাধ শ্রমিকদের হয়রানি করা না হয় সে আহবানও জানান শ্রমিক নেতারা।
রোববার (১৯ নভেম্বর) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম রনি এ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। পাশাপাশি পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাধারণ শ্রমিকদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে দাবি করে এমন পদক্ষেপের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নেতারা।
সিরাজুল ইসলাম রনি বলেন, রফতানিমুখী পোশাক শিল্পে ৪০ লাখের বেশি শ্রমিক কর্মরত আছে। বার বার একটি মহল শ্রমিকদের রুটি রুজির জায়গা ধ্বংস করে এবং শ্রমিকদের রক্ত ঝরায়। এছাড়া ১৯টি পোশাক কারখানাকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে, যা শ্রমিক আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। যাদের ইন্ধনে শ্রমিকরা হয়রানির শিকার হয় তাদের খুঁজে বের করতে হবে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, যখন মজুরি বোর্ডের যৌথ দর কষাকষি ও মজুরি প্রস্তাবনা করা হয় তখন শ্রমিকদের ভুল তথ্য দিয়ে একটি মহল উদ্দেশ্যে হাসিল করার চেষ্টা করে। তার পরিপ্রেক্ষিতে নিরীহ ৪ জন শ্রমিক প্রাণ হারায়, অনেক শ্রমিকের রক্ত ঝরে।
তিনি বলেন, দেশে শতাধিক শ্রমিক সংগঠন আছে। আমরা ১৪টি শ্রমিক সংগঠন ন্যূনতম মজুরিকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা আপাতত এটা মেনে নিয়েছি, কেননা গার্মেন্টস বন্ধ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। আমরা তো তাদের চাকরি মেনে নিয়েছি। এছাড়া ফ্যামিলি কার্ড ও রেশনিংয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ডলারের হিসাবে শ্রমিকদের বেতন বাড়েনি। এখন গার্মেন্টসে ওভারটাইম বন্ধ আছে। সেটা চালু হলে শ্রমিকরা উপকৃত হবে।