প্রকাশ: বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৩, ৫:৪৪ এএম (ভিজিট : ৫২৪)
কারাগারে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর যশোর যুবদল নেতা আমিনুর রহমান মধুকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। স্বজনদের অভিযোগ, এভাবে তার যথাযথ চিকিৎসা হচ্ছে না, এমন অমানবিকতায় মর্মাহত তারা।
আমিনুর রহমান মধু যশোর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি। তিনি সদর উপজেলার আমদাবাদ ডিগ্রি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। নাশকতা মামলায় গত ২ নভেম্বর পুলিশ তাকে আটকের পরদিন আদালতের মাধ্যমে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠায়। সেখানে ১২ নভেম্বর তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পরে তার দুই পায়ে ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়া পরিয়ে প্রথমে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ওই রাতেই তাকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। পরদিন ১৩ নভেম্বর কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে দুই পায়ে ডান্ডাবেড়ি লাগিয়ে এবং হাতে হাতকড়া পরিয়ে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার পায়ে এমনভাবে ডান্ডাবেড়ি এবং হাতকড়া পরানো হয়েছে তিনি সামান্য নড়াচড়াও করতে পারেন না। দুই হাত-পা গুটিয়ে থাকা ছাড়া তার অন্য উপায় নেই।
স্বজনরা বলছেন, পুলিশের আপত্তির কারণে মধুকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিছানা দেয়নি। মধুকে মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। সময়মতো তাকে ওষুধও দেওয়া হচ্ছিল না।
আজ বুধবার মধুর এনজিও গ্রাম করার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই গতকাল রাতে মধুকে হাসপাতাল থেকে ফের কেরানীগঞ্জ কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানান মধুর স্ত্রী নাহিদা সুলতানা লাবনী।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, আমিনুর রহমান মধুকে জামিন না দেওয়া এবং চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা অমানবিক।
বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি যশোর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইবাদত আলী খান বলেন, আমিনুর রহমান মধু যে রোগে অসুস্থ, তাতে যেকোনো সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। একজন শিক্ষকের সঙ্গে এমন আচরণ লজ্জাজনক। তার স্ত্রী-সন্তান মানবেতর জীবনযাপন করছে। আশা করব আদালত তাকে জামিন দিয়ে সুচিকিৎসার সুযোগ করে দেবেন।
যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমএ গফুর বলেন, বিষয়টা অমানবিক। হৃদরোগ আক্রান্ত ব্যক্তিকে এভাবে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসা দেওয়া সমীচীন নয়।