ই-পেপার রোববার ৫ মে ২০২৪
রোববার ৫ মে ২০২৪

করোনায় করুণ দশা সাইফুলের
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০, ৯:৫৮ পিএম  (ভিজিট : ৩১৯)
সাইফুল ইসলাম। বাড়ি কুড়িগ্রাম পৌর শহরের নাজিরা মিয়াপাড়া ৯নং ওয়ার্ডে। ১৯৯৬ সালে সাইফুলের পড়াশোনা চলাকালে আকস্মিক মৃত্যু ঘটে তার বাবার। পিতার অবর্তমানে অসহায় হয়ে পড়েন তিনি। অভাব-অনটনের সংসারে মায়ের কল্যাণেই ২০০৪ বিএ পাস করেন। এরপর কোথাও কোনো স্থায়ী চাকরির সুযোগ না পেয়ে কুড়িগ্রাম শিক্ষা প্রকৌশল অফিসে খণ্ডকালীন চাকরিতে যোগ দেন। বছর দুয়েকের মাথায় সে চাকরিও চলে যায়। চরম দুর্ভোগ নেমে আসে সাইফুলের সংসারে। চরম হতাশায় ভুগতে থাকেন তিনি। এটা ২০০৯ সালের কথা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তখন বেকার তরুণ-তরুণীদের জন্য চালু করেন ন্যাশনাল সার্ভিস। ন্যাশনাল সার্ভিসের প্রথম ব্যাচে চাকরি হয় তার। ভালোই চলছিল তার সংসার। দুবছরের চাকরি শেষে আবার বেকার হয়ে পড়েন সাইফুল। পরিবার-পরিজন নিয়ে একেবারে অসহায় হয়ে পড়েন তিনি। শুরু হয় আর এক জীবনযুদ্ধ। নিরুপায় হয়ে বেছে নেন টিউশনি পেশা। দিন-রাত মিলে ৫-৬ বাড়িতে টিউশনি পড়াতেন। তা থেকে প্রতি মাসে আয় হতো ১৫-১৮ হাজার টাকা। এ আয় দিয়েই সংসারের মৌলিক ব্যয় মিটিয়ে নিজের ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার খরচ আর রুগণ মায়ের চিকিৎসার ব্যয়ভার চালিয়ে যান। কিন্তু বিধিবাম! আকস্মিকভাবে আবির্ভূত হয় মহামারি করোনা। শুরু হয় লকডাউন। ধস নামে তার টিউশনিতে। করোনাভাইরাসের কারণে কেউ আর বাসাবাড়িতে টিউশনি শিক্ষক রাখতে আগ্রহী হন না। যেখানে টিউশনি করে মাসে আয় হতো ১৫-১৮ হাজার টাকা, সেখানে এখন দুয়েকটা টিউশনিও জোটে না বললেই চলে। সাইফুল-স্বপ্না দম্পতির দুই ছেলে ও এক মেয়ে। বড় ছেলে সাদেকুর সপ্তম শ্রেণিতে আর মেজ ছেলে শাহরিয়ার ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। সবার ছোট মেয়ে সুরাইয়া। সে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে।
এরই মধ্যে একদিন টিউশনি থেকে ফেরার পথে হঠাৎ তার সঙ্গে দেখা হয় শহরের ভোকেশনাল চৌরাস্তা মোড়ে। ভালোমন্দ কিছু জিজ্ঞাসা করার আগেই নিজের অসহায়ত্বের কথা বলতে শুরু করেন সাইফুল। তিনি বলেন, বড় অসহায় হয়ে পড়েছি ভাই। পরিবার-পরিজন নিয়ে করুণ অবস্থা এখন। আর পারি না। কিছু একটা করেন। আমাদের নিয়ে কিছু লেখেন। তিনি আবেগজড়িত কণ্ঠে আরও বলেন, করোনাকালে সময়ে জনপ্রতিনিধি ও এনজিওর মাধ্যমে অনেক সাহায্য-সহযোগিতা এলেও আমার ভাগ্যে জোটেনি এ সহায়তা। এদিকে সরকারি-বেসরকারিভাবেও সহায়তা দেওয়া হয়েছে অসংখ্যবার। কিন্তু আমার মতো অসহায় মানুষগুলোর কপালে জোটেনি। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহায়তা প্রত্যাশা করেন তিনি।





সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close