ই-পেপার মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪
মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪

'সবার জন্য চিকিৎসা নিশ্চিতে লড়াই করেছেন ডা. জাফরুল্লাহ'
স্মরণ সভায় বক্তারা
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১০:৪৩ পিএম  (ভিজিট : ২১০)
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্মরণ সভায় বক্তারা বলেছেন, সবার জন্য চিকিৎসা অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত লড়াই করে গেছেন। গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সম্মুখভাগে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর শিশুকল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ লেবার পার্টি উদ্যোগে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্মরণ সভায় তারা এ মন্তব্য করেন। 

বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য আন্দোলনের শীর্ষস্থানীয় এই নেতা গত বছরের ১১ এপ্রিল মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন। বাংলাদেশে ১৯৮২ সালে চালু হওয়া 'জাতীয় ঔষধ নীতি' প্রণয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে একুশ শতকের করোনা ভাইরাস মহামারি এই - পুরো পাঁচ দশকেই কোনো না কোনো ভাবে আলোচনায় এসেছেন ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বাংলাদেশে অনেকেই যাকে সম্বোধন করেন গরীবের ডাক্তার হিসেবে। 

প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে তারই প্রতিষ্ঠিত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্যোগে একাধিক স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে। ২৩ এপ্রিল সাভারে গণবিশ্ববিদ্যালয়ে, ২৫ এপ্রিল গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতলে ও ২৮ এপ্রিল কক্সবাজারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়েছে।

লেবার পার্টির সভায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন একই সঙ্গে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশি চিকিৎসক, দানবীর, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, সমাজসেবক ও রাজনৈতিক স্পষ্টভাষী ও সময়ের সাহসী সন্তান এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার কণ্ঠ। তার মৃত্যুতে দেশ ও জাতি একজন দেশপ্রেমিককে হারিয়েছে। গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণ, তিনি সরকারের জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী দিনে গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক বলেন, ডা. চৌধুরী ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে লন্ডনের রয়েল কলেজ ও সার্জনসে এফআরসি ডিগ্রিতে পড়াকালীন চূড়ান্ত পর্ব শেষ না করেই দেশে ফিরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। নিজে একজন চিকিৎসক হওয়ায় তিনি সহযোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে রণাঙ্গনে ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে মুক্তিযুদ্ধে আহতদের চিকিৎসা সেবায় বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। তিনি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল, গণবিশ্ববিদ্যালয়, গণফার্মাসিউক্যাল প্রতিষ্ঠা করে গণমানুষের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।

সুপ্রিম কোটের সিনিয়র আইনজীবী মহসিন রশীদ বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আমরণ প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। দেশে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার না থাকায় জনগণ মুক্তিযুদ্ধের সুফল পাচ্ছে না। স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও দেশে গণতন্ত্র-ভোটাধিকার নির্বাসনে। এরশাদ সরকারের আমলে ওষুধ নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের কৃতিত্ব ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর। বাংলাদেশ থেকে বিদেশে ওষুধ রফতানির শুভযাত্রা শুরু হয় এই ওষুধ নীতির কারণে।

সভাপতির বক্তব্যে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আর্তমানবতার কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। গণমানুষের মাঝে এখনও অনেকের চেয়ে তীব্র ও উজ্জ্বলভাবে বেঁচে আছেন তার কাজের মধ্য দিয়ে, কর্মের মধ্য দিয়ে। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী যেভাবে প্রতিবাদ করতেন সমাজের কেউ তা করতেন না। এত বিগ্রহ ও জটিলতার মাঝেও উনি প্রতিবাদ করে গেছেন। আমরা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তার অসমাপ্ত কাজকে এগিয়ে নিতে চাই।

লেবার পার্টির মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবলু, মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, গ্রীন ভয়েচ এডিটর মোস্তফা কামাল মজুমদার, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণঅধিকারের সদস্য সচিব মো. ফারুক হোসাইন, মানবাধিকার সংরক্ষণ সংস্থার চেয়ারম্যান এডভোকেট জোহরা খাতুন জুইঁ, মুক্তিযোদ্ধা দলের সহসভাপতি শহীদুল ইসলাম চৌধুরী মিলন প্রমুখ।

সময়ের আলো/জিকে




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close